বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জুমার জামাত শুরু হয়। ওই নামাজের ইমামতি করেন দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।
ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠলে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সবস্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন উঁচুভবনের ছাদে থেকেও মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন। বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটে আসেন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হন।
শুক্রবার বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ সাহেবের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ সাহেব। জুমার নামাজের পরে আরবী ভাষায় বয়ান করেন শেখ মোফলে, বাংলা তরজমা করেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর, বাদ আসর বাংলায় বয়ান করেন মাওলানা মোশাররফ সাহেব, বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, বাংলা তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়েছেন যারা
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসেছেন মালয়েশিয়ায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ বলে খ্যাত আলোচিত সমাজকর্মী ইবিট লিও ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এ সময় ময়দান থেকে অভ্যর্থনা জানান কাকরাইল মসজিদের শুরা সদস্য মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে মুফতি ওসামা ইসলাম ও মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম।
দ্বিতীয় পর্বে বিদেশি মেহমান
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৫৪টি দেশের ৬ হাজার ৩৬জন বিদেশি মুসল্লি ময়দানে অবস্থান করছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় বিদেশীদের প্রতিটি খিত্তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় ৪ মুসল্লির মৃত্যু
ইজতেমায় শুক্রবার বিকেল বিকেল পর্যন্ত ৪ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর গ্রামের মৃত ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন(৭০), জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে নবীর উদ্দিন(৬৫)। এর আগে শেরপুর জেলা সদরের মৃত মহেজদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৬৫) ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মৃতু সুলতানের ছেলে আব্দুল হেলিম (৬২)। তাদের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম।