সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙা গ্রামে মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামারের কর্মচারীকে বেঁধে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার পর দেলোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙা গ্রামে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) শরিফুল ইসলাম জানান, গত ১৭ মে দিবাগত রাত ২টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাঙায় মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামারের পুরুষ কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত ও মুখ বেঁধে তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় নগদ টাকা ও সোনার গয়না লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে গত ১৮ মে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন নির্যাতন আইন ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩-এর ৯(১) ধারাসহ পেনাল কোর্ডের ধারায় একটি মামলা করেন।
পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্তা ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু জানান, ঘটনার রাতে তিনি ও তার স্বামী ঘেরের বাসায় শুয়েছিলেন। রাত ২ টার দিকে চারজন সন্ত্রাসী হাতে রামদা নিয়ে ঘরে ঢুকে তার স্বামীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। তারা বাক্সে রাখা তাদের বেতনের ৩৭ হাজার টাকা, ১১ আনা ওজনের এক জোড়া কানের সোনার দুল, ১০ আনা ওজনের একটি সোনার আংটি ও খামারে ব্যবহৃত দুটি দা লুট করে। পরে তাকে রান্নাঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করে চারজন ধর্ষণ করে।
চারজনের মধ্যে পায়রাডাঙা গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম, রুহুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও লুৎফর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলামকে চিনতে পেরেছেন বলেও জানান নির্যাতিতা। চলে যাওয়ার আগে বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় তারা।
মামলায় দুই আসামিকে ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার করে তাদের ডিএনএ টেস্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ১ জুন পাঠানো হয়।
আজ দুপুর ২টার দিকে শ্বশুরবাড়ি বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকা থেকে মামলার অপর আসামি দেলোয়ার হোসেনকে র্যাবের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।