ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর মারধর ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি সংগ্ৰহ করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী জীবিকার তাগিদে সাগরে ছিলেন। তিনি দুই সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সুযোগে প্রতিবেশী কেরু মাঝির ছেলে কামাল ও তার সহযোগীরা ঘরের সিঁধ কেটে প্রবেশ করে ওই নারীর হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এ সময় ওই নারী চিৎকার করার চেষ্টা করলে বাচ্চাদের গলায় দা ধরে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন কামাল।
ধর্ষণ শেষে ভুক্তভোগীর নগ্ন অবস্থার ভিডিও ধারণ করে, কামালকে তিনি এনেছেন এমন জবানবন্দি নিয়েছেন। সেইসঙ্গে ধর্ষণের কথা কাউকে বললে ভিডিও ভাইরাল করে দিবে এবং সন্তানদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন কামাল।
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী বলেন, কামাল আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ধর্ষণ করেছে। তার সাথে আরও লোক ছিল, তারা বাহিরে ছিল। আমি তাদের চিনতে পারিনি। এছাড়া চুলের মুঠি ধরে আমাকে বাহিরে টেনে নিয়ে, আমাকে দিয়েই সিঁধ কাটার মাটি ভরাট করেন কামাল।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি এবং আমাদের পুলিশের টিম ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছে। তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামাল মাঝির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।