সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
নিঃশব্দ ঘাতকের সাথে বসবাস
ইয়াসমীন রীমা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:৩৭ PM
গ্রীষ্ম এলেই আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিমতে-মোটরগাড়ির জ্বালানি থেকে নির্গত একাধিক বিষাক্ত ধোঁয়া নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সইড, অর্থাৎ ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউডস (VOCs) এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। সূর্যের আলোর স্পর্শে নাইট্রোজেনের অক্সাইড এবং সালফার অক্সাইড বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তৈরি হয় ওজোন গ্যাস এবং সালফিউরিক ও নাইট্রিক এসিডের বাষ্প। 

জনৈক পরিবেশবিজ্ঞানীর ভাষায়- ‘গরম শুরু সাথে সাথে শুরু হয় নাগরিকদের দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। নগরের রাস্তাঘাট বেড়েছে প্রচুর। বেড়েছে মোটরগাড়ির সংখ্যা। ডিজেল আর পেট্রোলের ধোঁয়ায় কিছুক্ষণ পথ চললেই চোখ জ্বালা করছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে। এরপর ধূলিকণা তো আছেই। গরমে প্রায়ই ধূলির ঘূর্ণি উঠে। ফলে সূক্ষ্ম ধূলিকণা বাতাসকে করছে ভারাক্রান্ত। এর ফলেও বাড়ছে হাঁপানি রোগ এ্যালার্জি’।

প্রতিদিন সূর্যের আলো থাকে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটা বেশি সময়। ফলে তখন এসব বস্তুুর উপাদানও বাড়ে। বায়ূ প্রবাহের গতি কমলে নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোর বাতাসে এগুলো জমতে থাকে। রাতের দিকে তাপমাত্রা কমলে ওজোন গ্যাস ঘণীভূত হয়ে সৃষ্টি করে ‘স্মোগ’ বা ‘ধোঁয়াশা’। মাঝে মাঝে প্রচণ্ড জ্যাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টার  অজস্র গাড়ি স্থান- হয়ে দাঁড়িয়ে। তাদের থেকে নির্গত হয় বিষবাষ্প। নানান গ্যাস । প্রখর সূর্যের আলোর স্পর্শে জ্বালানি নিঃসৃত নাইট্রোজেনের অক্সাইড অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে উৎপন্ন করে ওজোন গ্যাস। জ্যামের সময় জনবহুল রাস্তাসহ তার আশেপাশের এলাকায় বৃ্িদ্ধ পায় ওজোনের মাত্রা। এর ফলে শুধু পথচারিরাই নয়, ওইসব এলাকার দোকান পাট এবং ঘর-বাড়িতে যারা বাস করে তাদেও আত্মস্থ করতে হয় অতিরিক্ত পরিমান ওজোন, সালফিউরিক এ্যাসিড গ্যাস ইত্যাদি।

কোনো কোনো সমীক্ষায় উলেগ্খ একবার কোনও গাড়ির ধোঁয়া নাকে যাওয়া পাঁচটা সিগারেট টানার সমান। অতিরিক্ত পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত যান চলাচলের দরুন গ্রীষ্ম আসার সাথে সাথে সেখানে প্রায়শই জমতে থাকে ঘন ধোঁয়াশা । কোন কোন সময় এ ধোঁয়াশার স্থিতিকাল কয়েকদিন অথবা কয়েক সপ্তাহ হয়ে থাকে। এ ধোঁয়াশা ঘটায় ফুসফুস এবং রক্ত সংবহনজনিত রোগ। মহাশূন্য পার হয়ে পৃথিবীর বায়ূমন্ডলের ভিতর দিয়ে এসে সূর্যের আলো পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে। এ উত্তাপে বেশিরভাই আবার বিকিরিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। এর ফলে পৃথিবী খুব বেশি উত্তপ্ত হতে পাওে না। কিন্তু বায়মুণ্ডলে কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমান বেশি থাকলে এ-অবস্থার বিপরীত ঘটনা ঘটে। পৃথিবীর তাপমাত্রা তখন প্রচুর বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীর তাপ বায়ুমণ্ডলের কার্বনডাই-অক্সাইডের ভিতর দিয়ে মহাশূন্যে যেতে না পারায় পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে পড়ে আর আবহাওয়াবিদদের মতে- ‘মে মাসের শেষ বা জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর আসে বর্ষা। বর্ষায় বাতাস সিক্ত হবে। কমবে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা।’ সত্যি কথা বলতে কি পৃথিবীর যাবতীয় পদার্থের মধ্যে বাতাসের সঙ্গেই আমাদের প্রীতির বন্ধন সব চাইতে বেশি।

বিশ্বজুড়ে সভ্যতার ক্রমবিকাশ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা স্থাপন, ময়লা আর্বজনা ও প¬াটিক জাতীয় জিনিষপত্রের ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষণ দ্রুত হচ্ছে। তাছাড়া উড়োজাহাজ, রেলের ইঞ্জিন, বিদ্যুৎ প্লান্ট, ইটভাটা এবং ধূলিকণা দেশের বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে চলছে।  রাস্তা খোঁড়া, নির্মাণ ও অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শহরের বায়ুদূষণের বিষয়টিকে আরও বেশি জটিল করে তুলছে। মোটরযানের দূষিত ধোঁয়া বায়ুদূষণের মাত্রাকে প্রতিনিয়ত আরও তীব্র করে তুলছে।

ট্রাফিক বিভাগের পরিসংখ্যানে- ১ জানুয়ারি থেকে গত মে মাস পর্যন্ত রাজধানীতে শুধু কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়ার জন্য প্রায় ৪৩ হাজার গাড়ির জরিমানা করা হয়েছে। এগুলোর মাঝে অধিকাংশ গাড়ির জরিমানা করা হয়েছে একাধিকবার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে ট্রাফিক বিভাগ জানান যে-শুধু সোনারগাঁও হোটেল এলাকায় দুপুরে বাতাস এত দূষণময় হয়ে পড়ে যে তা রাজধানীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়া গাড়িগুলো নিয়ে রাজধানীর ট্রাফিক পুলিশও এখন বিপাকে। মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়া গাড়ির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ২০০টাকা জরিমানা করা যায়। সামান্য এ জরিমানার টাকা দিয়ে সংশি¬ষ্ট গাড়ি আবার যথারীতি চলাচল করছে। ফলে আবহাওয়া দূষণের কবলে পড়ছে ঢাকা মহানগরী। যানবাহনের কালো ধোঁয়ার সাথে মিশছে ধূলা-বালি। যানবাহনের বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার সীসার সাথে মিশে যাচ্ছে ধোঁয়ার প্রলেপ। নিশ্বাসের সাথে এ ধোঁয়া ঢুকে যাচ্ছে মানুষের দেহে। চিকিৎসকদের মতে- পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব হয়তো এখন চোখে পড়বে না।

কয়েক বছর দেখা দেবে শারিরিক নানা সমস্যা। পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েক বছর পূর্বে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণের পরিমাণ জানার জন্য নমুনা সমীক্ষা কার্যক্রমের মূল উদ্যোশে-গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, আসাদগেট ও ফার্মগেট এলাকার উপর সমীক্ষা চালিয়ে উলে¬খ করেন- গুলিস্তান-পল্টন-মতিঝিল এলাকার বায়ুদূষণ মাত্রা ফার্মগেট, লালমাটিয়া, ধানমন্ডির তুলনায় অনেক বেশি। গুলিস্তান মতিঝিল এলাকায় বায়ূদূষণ বেশি হওয়ার কারণ যানবাহনের আধিক্য। অধিকন্তু হাটখোলা, মানিক মিয়া এভিনিউ ও আন্ত-জেলা বাসটার্মিনালসমূহে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় বাতাসে ভাসমান কণার পরিমান ২৪৬৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। অথচ এর সহনীয় মাত্রা হচ্ছে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। বিআরটি-এর পরিসংখ্যান মতে, ঢাকায় প্রতিদিন দু’লাখ যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করছে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার কার জিপ, ৫০ হাজার বেবিট্যাক্সি মিশুক, ৩০ হাজার মোটরসাইকেল, ৫ হাজার বাস-মিনিবাস, ৩ হাজার টেম্পো। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, দু’লাখ যান্ত্রিক যানের ৮০ ভাগই ক্রটিযুক্ত।  ত্রুটিযুক্ত যানবাহন ও কলকারখানা দৈনিক ১২৮ কেজি সীসা, ৮৩ টন কার্বন মনোক্সাইড, ২৭ টন হাইড্রোকার্বন, ২১ টন নাইট্রোজেন অক্সাইড,৫টন সালফার ডাই অক্সাইড, ৫ দশমিক ৩ টন পরিত্যক্ত বস্তুকনা ছড়িয়ে দিচ্ছে ঢাকার বাতাসে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরিসংখ্যানে বছরে ঢাকার বাতাসে সীসা ছড়িয়ে পড়ছে ৭০ টন এবং আবাসিক এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে দুইশো মাইক্রোগ্রাম বস্তুকনা গ্র্রহণযোগ্য কিন্তু ঢাকায় এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে দু’হাজার মাইক্রোগ্রাম। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের অভিমত- ব্যাপক শিল্পায়নসহ অন্যান্য দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদির ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই-অক্সাইড নাইট্রোঅক্সাইড, মিথেন ও ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাসের পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গাড়ি ও কলকারখানা বৃদ্ধিতে কালো ধোঁয়ার ফলে উৎপাদিত হয় কার্বনডাই-অক্সাইড এবং জলীয়বাস্প। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ¯েপ্র এবং রেফ্রিজারেটর এয়ার কন্ডিশনার প্রভৃতি যন্ত্র থেকে সিএফসি গ্যাস (গ্রীন হাউস) নির্গত হচ্ছে। সিএফসি গ্যাসের একটি অণুর তাপধারণক্ষমতা ১৫ হাজার কার্বনডাই-অক্সাইডের অণুর সমান। এসব গ্যাসের প্রভাবে অতিমাত্রায় সূর্যতাপ পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলে আটকাপড়ে মারাত্মক গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ আশির দশকের আগে থেকেই গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার শিকার হলেও আশির দশকে এ প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং এখনও এ-প্রতিক্রিয়ায় দেশে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে।  জ্বলানি যখন পুড়ে বাতাসে তখন সীসার কণা ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীরা স্বাভাবিক সহনীয় মাত্রার চেয়ে দশগুণ বেশি ঘনত্বের সীসাপূর্ণ বাতাস শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেন।

উন্মুক্ত স্থানে এসিড ও এসিডজাতীয় ক্ষতিকর দ্রব্যাদি ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও উন্মুক্তভাবে নাইট্রিক এসিড, সালফার এসিড ও অন্যান্য বিষাক্ত সামগ্রী দিয়ে সোনাচাঁদি গলানো ও পরিষ্কারের কর্মকাণ্ড চলছে। এসিডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় সমগ্র এলাকা। প্রতিনিয়ত দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নাকে রুমাল দিয়ে শহরবাসী ও পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

সম্প্রতিক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উলে¬খ-ঢাকার বায়ুদূষণের ফলে প্রতিবছর ১৫০০০ হাজার মানুষ অকালে মারা যায়। কয়েক লাখ মানুষ নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হয়। মানবদেহে সীসা দূষণের প্রতিক্রিয়া অপরিমেয়। ঢাকা শহরের যানবাহন প্রতিবছর উগড়ে দিচ্ছে ৭০ টন বায়বীয় বিষ। ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে গাড়িগুলো যখন সিএনজিতে রূপান্তরিত হচ্ছে তখনই ধরা পড়ে আরেকটি নতুন বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। গুলশান-বারিধারা লেকে মাছের মড়ক।

অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, ছিয়ানব্বই বিঘাজুড়ে গোটা লেকের পানি অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়েছিল। লেকের পানির রঙ বদলে কালো হয়ে যায়। পচা পানির দুর্গন্ধে লেক এলাকার পরিবেশ হয়ে উঠেছিলগন্ধময়। বলা বাহুল্য- মানুষের কোনো কোনো কাজকর্মের দরুন বাতাসে জমছে নানা রকম ট্রেস গ্যাস। এমন সময় মনে হতো- কলকারখানা, মোটরগাড়ি, এসবই ট্রেস গ্যাসগুলোর উৎস। ট্রেসগাস মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেনের অক্সাইড। এগুলোর সাথে এখন যুক্ত বিভিন্ন ধরনের হাইড্রো-কার্বন, বিশেষ করে মিথেন। এসব গ্যাসের মূল উৎস জ্বালানি কয়লা, পেট্রোলিয়াম, কাঠ এবং জৈব সামগ্রী। সবই প্রকৃতজাত। এসগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু কিছু রাসায়নিক যৌগ, যেগুলো একমাত্র মানুষেরই সৃষ্টি। যেমন- ক্লোরোফ্লোরোকার্বনস।

জ্বালানি কয়লা থেকে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ কার্বনডাই অক্সাইড এবং সালফার অক্সাইড । তারা বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের সঙ্গে বিক্রিয়া করে উৎপন্ন  করে কার্বনিক এসিড এবং সালফিউরিক এসিড। কয়লা এবং তেল পোড়ালে উৎপন্ন হয় নাইট্রোজেনের অক্সাইড। জমিতে অতিরিক্ত ফসল ফলানোর জন্য প্রয়োগ করা অধিক পরিমাণ নাইট্রোজেন সার। সূর্যের আলোর স্পর্শে তাতে ঘটে রাসায়নিক বিক্রিয়া। অর্থাৎ ফটোকেমিক্যাল রিঅ্যাকশন। এর ফলে নাইট্রোজেন সারের অণু ভেঙে গিয়ে তৈরি হয় নাইট্রিক অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড। তারা বায়মণ্ডলের জলীয় বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে তৈরি করে নাইট্রিক এসিড। ফলে এসব এসিড কণা বাতাসে ভাসতে থাকে। কুয়াশা এবং ধোঁয়াশার মাধ্যমে তারা অধঃক্ষিত হয়। আবার কখনোও বা বৃষ্টি বিন্দুর মাধ্যমে নেমে এসে দূষিত করে পুকুর, নদী ও জলাশয়ের পানি। ফলে মারা পড়ে জলজ প্রাণী, আসবাবপত্র, ঘরবাড়ির সরঞ্জামের ক্ষতি করে। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত