সিংগাইরের বহুল আলোচিত তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবা কুদ্দুস হত্যা মামলার মূল আসামিসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা। রাজধানীর সবুজবাগ ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সুজন সরকার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটিপাড়া গ্রামের হযরত আলীর পুত্র আবুল কালাম (৪৫), হাকিম আলীর পুত্র মিলন (৩২), কালামের পুত্র জোবায়ের (২২), সিরাজপুর গ্রামের সামছুল হকের পুত্র মোখলেছ (৩৮), ওমেদ আলীর পুত্র আবুল হোসেন (৪৮), আবুল হোসেনের পুত্র আওয়াল (২৩) ও ইউপি সদস্য গফুর (৪১)।
জানাগেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে সিংগাইর উপজেলার চন্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের মৃত মিনাজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কুদ্দুসকে (৫২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজন পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করা হয়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহত কুদ্দুসের বোন জাবেদা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। আমার ভাই তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের জনক ছিলেন। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার বলেন, এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এই মামলাটির তদন্তভার ন্যস্ত হয় জেলা গোয়েন্দা শাখায়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানের (বিপিএম পিপিএম বার) সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, ইমতিয়াজ মাহবুব ও নুরজাহান লাবনী তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে। একই সাথে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আবুল কালাম এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি অভিযানিক দল দ্রুত সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকি আসামী গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ক্লোজ দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।