শুক্রবার ১ আগস্ট ২০২৫ ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
শুক্রবার ১ আগস্ট ২০২৫
শক্তির অপার সম্ভাবনার খাত সৌরবিদ্যুৎ
অলোক আচার্য
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪, ১২:২৮ PM আপডেট: ১২.০৩.২০২৪ ১২:৫৭ PM
ভবিষ্যত পৃথিবীর অন্যতম দুশ্চিন্তা জ্বালানিখাত নিয়ে। কারণ জ্বালানি হলো শক্তির চালিকাশক্তি। এই শক্তির উপর ভিত্তি করেই পৃথিবী চলছে। তবে পৃথিবীবাসীকে এখন নিশ্চিত করতে হবে সেই উৎস কোনটি হবে? সেটি কি হবে আদিকালের উৎস অনবায়নযোগ্য যা ইতিমধ্যেই শেষ হতে চলেছে, নাকি তা হবে নবায়নযোগ্য যা নিয়ে ইতিমধ্যেই পৃথিবী অগ্রসর হচ্ছে? চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যত জ্বালানির চিন্তা করতে হচ্ছে। 

ভবিষ্যতের পৃথিবী কোন উৎস থেকে শক্তি উৎপাদন করবে? বিদ্যুৎ উৎপাদন, গাড়ি থেকে প্লেন কোন শক্তি ব্যবহার করে চলবে এসব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। কারণ বহুদিন ধরে তেল, কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভর করে আসা সভ্যতা যে এসব পদার্থ থেকে সৃষ্ট দূষণে হুমকিতে রয়েছে তা পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পেরেছে। বর্তমান বিশ্বের শক্তি উৎপাদনে নির্ভর করছে অনবয়ানযোগ্য শক্তি যেমন তেল, গ্যাস ও কয়লার ওপর। সভ্যতার বিকাশ শুরুই হয়েছিল এসব জ্বালানি ব্যবহার করে। 

সভ্যতা উত্তরণের সাথে সাথে বিজ্ঞানেরও প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়। মানুষ বুঝতে পারে শক্তির যেসব উপাদান ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে। পৃথিবী খুব দ্রুতই সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এই গুরুত্ব উপলদ্ধি করেই বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগে থেকেই জোর দিচ্ছেন বিকল্প শক্তির ব্যবহারের ওপর। শক্তির প্রধান উৎস হলো সূর্য। মানুষের প্রধান লক্ষ্য হলো সূর্যের তাপ কাজে লাগিয়ে শক্তির চাহিদা পূরণ করা। যাকে আমরা জানি সৌরশক্তি হিসেবে।

সারা বিশ্বেই সৌরশক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। যেদিন অনবায়নযোগ্য জ্বালানি নিঃশেষ হবে সেদিন সূর্যই হবে আমাদের জ্বালানি শক্তির প্রধান উৎস। বর্তমানে সোলার প্যানেলের দ্বারা প্রতিদিনের ঘরের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ফ্যান ঘুরছে, টিভি চলছে এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিও চলছে সৌর শক্তি ব্যবহার করে। বিশেষ করে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানোই কষ্টসাধ্য ছিল সেসব এলাকায় বহু আগে থেকেই সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এসব সোলার প্যানেল হলো অসংখ্য ফটোভোল্টাইক সেলের সমষ্টি, যা সূর্যের আলোক শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করে। তেল, গ্যাস বা কয়লার মতো জ্বালানি কোনো দেশে অধিক বা কম পরিমাণে মজুত থাকে। 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও বেড়েছে বহুগুণে বেশি। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ সম্পদ প্রায় শেষের দিকে। আমাদের দেশেও একই অবস্থা। বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ কলকারখানার জন্য ব্যবহৃত শক্তির একটি বড় উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস। স্থায়ী বিকল্প জ্বালানি হিসেবে প্রথম পছন্দ হলো সৌরশক্তি। যা থেকে মানবজাতি যুগ যুগ শক্তি উৎপাদন করতে পারবে এবং নিঃশেষ হবে না। সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে আমেরিকা, চীন, জাপান, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার অনেক এগিয়ে। প্রতিটি দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে সৌরশক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করছে। আমাদের দেশেও সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং তার অগ্রগতি আজ বহুদূর।
 
সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আজ আলোকিত হচ্ছে বসত বাড়ি। আলোকিত হচ্ছে হাট-বাজার। আজ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুৎসুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি তখন সেসব স্থান আলোকিত হয়েছে সৌরবিদ্যুতের আলোয়। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে কেবল বাড়িঘর নয় সেই সাথে ছোট ছোট উৎপাদন প্রতিষ্ঠান চালনা করা সম্ভব। বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সৌরবিদ্যুৎ সম্প্রসারণে বিশ্বে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বর্তমান বিশ্বের প্রধানতম সমস্যা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। গবেষকরা বলছেন, উন্নত বৈশ্বিক দেশগুলোতে বায়ুশক্তি ও সূর্যশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংগ্রহের মাধ্যমে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে। এর ফলে কমেছে কয়লার মতো জীবাশ্ন জ্বালানির ব্যবহার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জ্বালানি ব্যবহারের এই পরিবর্তনে বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হারও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে সোলার বা সৌরবিদ্যুতের অবদান ৮০ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে সোলার ফটোভোলটাইক (পিভি) ও বাতাসের সমন্বিত অবদান ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০১৯ সালে এই অবদান ছিল ৮ শতাংশ।  সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে সোলার পার্ক, সোলার মিনি গ্রেড ও সোলার ইরিগেশনের মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সৌরশক্তি ব্যবহার করেই ভষ্যিত শক্তির বড় অংশই পূরণ করা সম্ভব।

বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ২ আগস্ট উদ্বোধন করা হয় দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি চরের সাড়ে ছয়শ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় ও এশিয়ার অন্যতম বড় এই সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। এই কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সুন্দরগঞ্জের তিস্তাপাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১২২টি টাওয়ারের ১৩২ কিলোভোল্টের ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নির্মাণ করা হয়েছে সাবস্টেশন, বসানো হয়েছে ইনভার্টারসহ সব ধরনের যন্ত্র। বন্যা, নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ ও চলাচলের জন্য সাত কিলোমিটার সড়ক। যার সুবিধা পাচ্ছেন স্থানীয়রা।

গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে  যুক্ত হচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। এ কেন্দ্র থেকে দিনে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে ফেনীর সোনাগাজীর বিস্তীর্ণ চরে। প্রকল্পটির কাজ শেষে চালু হলে ন্যাশনাল গ্রিডে যোগ হওয়ার কথা রয়েছে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।  সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ধরন ও তাদের ক্রমবর্ধমান খরচ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে তীব্রতর করেছে, যা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করার অন্যতম উপায়। সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। রাজধানী ঢাকা থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বাগেরহাটের রামপালে ৯০০ একর জমির ওপর ৪৩ কোটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও সৌদি আরবের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডলার খরচে ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

পৃথিবীর মানুষ এখন পৃথিবীকে সুরক্ষা দিতে চাচ্ছে। দূষণ থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছে এবং সেই সাথে টেকসই জ¦ালানির দিকে ঝুঁকতে যাচ্ছে। সেজন্য কমাতে হবে গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাব। সেটা তখনই সফল হবে যখন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শক্তির মাধ্যমে শিল্পকারখানা চলবে। গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ চলবে। অনেক দেশই সৌরশক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে রিকশা থেকে শুরু করে বাস চালাচ্ছে। ব্যপকভাবে তা না হলেও ক্রমেই এই প্রচেষ্টা সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।

বিংশ শতকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যান্য উৎস  যেমন সৌরশক্তি ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ২০০৮ সালের আগে সারা দেশে সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ছিল তিন লাখের কম। পরবর্তীতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে  ২০১৪ সালেই দেশে সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ৩০ লাখ এবং রিনিউয়েবলস ২০১৭ এর গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ সৌর শক্তির প্যানেল রয়েছে। এক তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বে সৌরপ্যানেলের ৬০ লাখের মধ্যে বাংলাদেশেই ব্যবহার করা হয় ৪০ লাখ। আরও জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে বিশে^ ৬০ লাখেরও বেশি স্থানে সৌরশক্তি ব্যবহার চলছে, আর এতে উপকৃত হচ্ছে আড়াই কোটি মানুষ। ২০১০ সালে নেওয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ১০ বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হবে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ ভাগ। নবায়নযোগ্য জ্বালানিনিয়ে গ্লোবাল স্ট্যাটাসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশে^ দ্বিতীয়। 

নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের বৈশি^ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিনিউঅ্যাবল এনার্জি এজেন্সির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌরবিদ্যুৎ খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের পঞ্চম। বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সুতিয়াখালী ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প পরীক্ষামূলক উৎপাদনে গেছে। ১৭৪ একর জমির ওপর নির্মিত এ পর্যন্ত  এটাই দেশের বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। বিশ্বের বৃহত্তম সোলার পার্ক তৈরি হচ্ছে ভারতের গুজরাটে। বছরে ৩০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার আগে ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আবুধাবিতে ৩২ লাখ সৌরপ্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। এটি প্রায় ১০ লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনতে পারবে। তার আগে মরোক্কতে বিশে^র সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়। এশিয়ার আরেক ধনী রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে তৈরি হয়েছে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ। বায়ুবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা বেশি না থাকায় সমুদ্রের তীরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশটি। অর্থাৎ প্রতিটি দেশ সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা তৈরি করছে যা ভবিষ্যতে টেকসই জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে। সেই সাথে পৃথিবী আগের মতোই নির্মল হয়ে উঠবে। 

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত