কিউকম (qcoom.com) একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতো চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতো। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের পর সম্প্রতি অফিস বন্ধ করে দেয় কিউকম। এই ই-কমার্স সাইটটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পণ্য সঠিক সময়ে ডেলিভারি না দেওয়াসহ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগ উল্লেখ করে সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে মোঃ হাবিব বিন আব্দুল্লাহ। তিনি উল্লেখ করেন, দেশে ২০১৯ সালে Qcoom. com নামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রতারণার উদ্যেশ্যে ব্যবসা শুরু করে। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে পণ্য অর্ডার ও অগ্রিম পেমেন্ট সংগ্রহ করে লক্ষ লক্ষ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ না করে কারসাজি করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ প্রতারণা - জালিয়াতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিল রিপন মিয়া ও তার সহযোগী তানভীর, যারা তৎকালীন আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। আর এদের সকল অপকর্ম পিছনে কলকাঠি নেড়েছে রিপন মিয়ার শশুর সৈয়দ আ: রউফ মুক্তা, যিনি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, রিপন মিয়া বিভিন্ন ব্যাংকের একাধিক হিসাব ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে যখন ৬৫০ কোটি টাকার অর্ডার নেয়া হয় তখন সরকার পেমেন্ট গেটওয়েকে নির্দেশ দেয়া হয় যে, পণ্য ডেলিভারি ছাড়া টাকা দেয়া যাবে না। তখন ফস্টার গেটওয়েতে ৩৯৬ কোটি টাকা আটকে ছিলো। এ অবস্থায় রিপন মিয়া নানা ছলচাতুরি ও ফাঁদ পেতে গ্রাহকদের ফুঁসলিয়ে ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা জমা নেয়া শুরু করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ১৬ জুন রিপন মিয়া কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাংক ডিপোজিটের ৪৫০০ টি চেকের পাতা জমা নিয়ে নেয়। যাতে করে গ্রাহকদের কাছে তার চেকের কোনো প্রমাণ না থাকে।
রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় বহু মামলা রয়েছে এছাড়া তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ভুক্তভোগীরা টাকা না পেয়ে পথে পথে ঘুরছে অন্যদিকে এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রিপন মিয়া বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল মিয়া, সাঈদুল ইসলাম, মোঃ ফয়সাল সহ অনেক ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহক।