পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে অতি গরমেও শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে নন্দীগ্রামের ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের বিপণিবিতানগুলো।
সকাল থেকে শুরু হয়ে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে এ কেনাবেচা। ঈদ বাজারে বড় বড় মার্কেট ও বিপণী বিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান মার্কেটে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এখন বিপণী বিতান গুলোতে রাতে শোভা পাচ্ছে আলোক সজ্জা।
সরেজমিনে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের জনতা মার্কেট, নিউ মার্কেট, বসুন্ধারা শপিং কমপ্লেক্স, খন্দকার মোখলেছুর রহমান সুপার মার্কেটে দেখা যায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। বিশেষ করে পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।
বড় বড় মার্কেটের মতো ভিড় দেখা যায় ফুটপাত ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও। তবে পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্যে করা যায়।
ছেলে-মেয়ে নিয়ে কাপড় কিনতে আসা গৃহীনি মরিয়ম বিবি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ছেলে-মেয়েদের জন্য কাপড় চুপর ও জুতা কিনতে এসেছি। নিজেদেরও কিছু কাপড় চুপর লাগবে। সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। পছন্দসই জিনিস কিনতে পারছিনা। মেয়ের জন্য ১৮ শো টাকা দিয়ে একটা থ্রি পিছ কিনেছি। আরো অনেক কাপড় কিনতে হবে।
কাপড় কিনতে আসা জীবন শুকুমার সরকার বলেন, পহেলা বৈশাখে বাচ্চাদের নতুন পোশাক দিতে হয়। দোকানে এসে দেখছি যে ভিড়। দেখি কেনা যায় কি না। বসুন্ধারা শপিং আলামিন টেইলার্স ষ্টোরের মালিক আলামিন বলেন, কাপড়ের দাম অনেক আগেই বেড়েছে। নতুন করে তেমন দাম বৃদ্ধি হয়নি। আমাদের কাছে অল্প ও বেশি সব ধরণের কাপড় আছে। আমরা থ্রি পিছ ৫শো থেকে ৩ হাজার, শাড়ী ৫শো থেকে ৬হাজার, শার্ট পিছ ৪শো থেকে ২ হাজার, প্যান্ট পিছ ৪শো থেকে ২ হাজার ৫শো টাকায় বিক্রি করছি।
আহসান হাবিব নামের এক ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জানান, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকান গুলোতে কেনাকাটা করতে আসে। আমরাও তাদের কাছে সীমিত লাভে পণ্যে বিক্রি করে থাকি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ফুটপাতের দোকানে ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।