মাদ্রাসার একাধিক শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের পর হুজুর দোষ চাপালেন শয়তানের ঘাড়ে। নেছারাবাদ উপজেলার মাগুরা ছালেহিয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া দ্বিনীয়া মাদ্রাসার বেল্লাল হোসেন নামে এক হুজুরের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রের সাথে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
মধ্যরাতে যখন মাদ্রাসার শিশুরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকত, ঠিক তখনই শিশুদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে ভয় দেখিয়ে কিংবা কাউকে দশ টাকা হাদিয়া দিয়ে বলাৎকার করত মো: বেল্লাল হোসেন। ভুক্তভোগী শিশুরা হুজুর বেল্লালের নিয়মিত যৌন নীপিড়ন সইতে না পেরে অভিভাবকদের জানায়। বুধবার সন্ধ্যার পরে অভিভাবকরা মাদরাসার সামনে এসে জড়ো হয়ে ওই হুজুরের বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনায় ওই হুজুরকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার সালিশ মীমাংসার দিন ধার্য করেছে মাদ্রাসার কমিটি। লম্পট বেল্লাল হোসেন কাউখালি উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
হুজুর বেল্লাল হোসেনের বলাৎকারের শিকার হওয়া নাজেরা শাখার এক শিশু জানায়, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পর হুজুর বেল্লাল তার কাছে যেত। জোরপূর্বক শিশুটিকে যৌন নীপিড়ন করত। নীপিড়নের শেষে কাউকে কিছু না বলার জন্য তাকে দশ টাকা হাদিয়া দিত।
একই শাখার অপর একটি শিশু জানায় বেল্লাল হুজুর একেক সময় একেক জনের কাছে আসত। তিনি ইচ্ছেমত আমাদের দিয়ে যা খুশি তাই করাত। তার কথামত রাজি না হলে তিনি আমাদের ভয় দেখাত।
মাদ্রাসার অপর এক ছাত্রের বড় ভাই জানান, ওই মাদ্রাসায় তার দুই ভাই পড়াশোনা করে। মাদ্রাসার হুজুর বেল্লাল হোসেন তার ভাইদের দিয়ে 'মনের খায়েশ' মিটাতো। পরে আমার ছোটভাই বেল্লাল হুজুরের যন্ত্রণা সইতে না পেরে বাসায় আমাদের জানিয়েছে। আমরা এর উচিৎ বিচার চাই।
বেল্লাল হুজুর এই অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি মাদ্রাসার সব ছাত্রদের সাথে এসব করিনি। শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় পড়ে দুই একজন ছাত্রের সাথে করেছি । আমি ভুল করেছি, ক্ষমা প্রার্থী।
মাদরাসা কমিটির সদস্য মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার এ বিষয়ে শালিস হবে। কমিটির সভাপতি মো: লাভলু আহমেদ বাড়িতে নেই। তিনি আসলেই এর শালিস হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কমিটির সভাপতি মো: লাভলু আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।