জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের শস্য উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে। এতে নতুন নানা ধরনের রোগবালাইও ছড়িয়ে পড়বে ।
‘জলবায়ুর পরিবর্তন ও তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ে যৌথ এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, নিয়মনীতি না মেনে পরিবেশের প্রতি মানুষ যে অত্যাচার চালিয়েছে, অসহনীয় তাপ এবং শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে তার প্রতিশোধ নিচ্ছে প্রকৃতি। আগামী দিনে এসব আরও ভয়াবহ দুর্যোগ হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে জানান তিনি।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের বাতাসে যে হারে দূষণ ও বিষাক্ত ধূলিকণা বাড়ছে, তাতে প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। এসব দূষণ প্রতিরোধে মহাপরিকল্পনা না নিলে প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুও হতে পারে বলে জানান তিনি।
সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব সেমিনারে জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশের উপকূলের ৩০ শতাংশেরও বেশি জমি ইতোমধ্যে লবণাক্ত হয়েছে। ফসল-জীবিকা হারিয়েছেন অন্তত ২০ লাখ মানুষ। যাদের বেশির ভাগই জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে শহরে আসছেন। এসব মানুষের দুর্বিষহ দিন কাটছে।
স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৩৩ হাজার দখলদার ২ কোটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে জিম্মি করে রেখেছে। তারা নগরীর ৭০ শতাংশেরও বেশি খাল, নদী ও জলাভূমি দখল করে বহুতল ভবন গড়ে তুলেছেন। যা ঢাকা শহরকে বিশ্বের অন্যতম দূষিত নগরীতে পরিণত করেছে।