নজরুলকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সংকল্প কবিতায় তিনি সারাবিশ্ব হাতের মুঠোয় আনার কথা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আজ আমরা সারাবিশ্বকে প্রযুক্তির মাধ্যমে হাতের মুঠোয় এনেছি। এটি তাঁরই সংকল্প। তিনি কুসংষ্কার, কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে সাম্যের পক্ষে কথা বলেছেন। নজরুল আমাদেরকে যে শিল্প সাহিত্য ও সংষ্কৃতির ভান্ডার দিয়ে গেছেন এর মধ্যে আমাদেরকে অবগাহন করতে হবে। তাহলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পথ সুগম হবে।
আজ ২৫ মে শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ কালী নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংষ্কৃতিক কেন্দ্র ও শ্রীপুরের নেতাজী সুভাষ-কাজী নজরুল সোশ্যাল এন্ড কালচারাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।
জন্ম জয়ন্তীতে “ভাগ হয়নিকো নজরুল” এর প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ীর সঞ্চালনায় প্রবন্ধ পাঠ করেন ট্রাস্টের সভাপতি শ্রী বিমল চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইম রানা, কলকাতা ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট শমরিতা মল্লিক, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ইতিহাসবিদ ড. সুনীল কান্তি দে, ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও নেতাজী সুভাষ-কাজী নজরুল সোশ্যাল এন্ড কালচারাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা।
অনুষ্ঠানে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন বরেণ্য নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সিরাজগঞ্জের বাদশা মিয়া, তানিশা ও তাঁদের দল। বিদ্রোহীসহ দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন টিটো মুন্সী ও আগমনী কবিতা আবৃত্তি করেন সীমা ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরানো হয়।