বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ২০২৫ ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ২০২৫
প্রস্তুত ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র
পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝুঁকিতে নদীতীরের মানুষ
পি‌রোজপুর প্রতি‌নি‌ধি
প্রকাশ: রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪, ৪:১১ PM আপডেট: ২৬.০৫.২০২৪ ৪:৪৪ PM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পিরোজপুর জেলায় শনিবার সন্ধ্যা থেকেই মেঘলা আকাশ ও একটা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। পাশাপাশি জেলার কয়েক স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কঁচা, বলেশ্বর ও কালিগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে। তাই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদীপাড়ের ৫ লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র। যার মধ্যে ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর, বড়মাছুয়া, সাপলেজা ও ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী চর এলাকায় মানুষের মধ্যে অনেকটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া ভান্ডারিয়া ও কাউখালী উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব এলাকার অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে। জেলা প্রশাসনও উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।

তবে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় নদী পারের মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। জেলায় ৩৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁর অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তাই আতঙ্কের মধ্যে আছে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানীর উপকূল এলাকার মানুষেরা।

ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা সরদার হাসিব বিল্লাহ বলেন, নদী তীরের মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এসব এলাকার ঘরবাড়ি যেকোনো ঝড়েই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোলরুমসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান আরও বলেন, জেলায় ২ লাখ ৬৩ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩ লাখ ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬১১ টন চাল ও নগদ ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য ৯৭টি টিন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রেড ক্রিসেন্টের ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপি ২ হাজার ৪২০ জন সদস্যও প্রস্তুত আছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত