উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) রাজধানীতে খাল ও সরকারি খাস জমি দখল করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জলাশয় উদ্ধারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাছে রামচন্দ্রপুরে অভিযান শুরু হয়েছে। তিন দিনব্যাপী খাল উদ্ধার কার্যক্রমের প্রথম দিনই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বস্তি, রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী কার্যালয়, মুদি দোকান ও আলোচিত সাদিক এগ্রোর পশুর খামার ভেঙে দেওয়া হয়। পরে খাল খননও শুরু করে ডিএনসিসি।
আগামীতে যেন নতুন করে কেউ খাল ভরাট করতে না পারে সেজন্য খালের একাংশে শিশুদের জন্য খেলার জায়গা তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে তারা।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। পরে শুক্র ও শনিবারও (২৮ ও ২৯ জুন) এই অভিযান চলে। খাল ছাড়াও ওই এলাকায় নিজস্ব কিছু জমি দখলমুক্ত করে ডিএনসিসি।
মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান।
বড় এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে চলছে খাল খনন। খাল পাড়ে সরকারি খাস জমিতে জেলা প্রশাসকের টানানো ব্যানার দেখে বোঝা যায়, প্রায় এক একর জায়গা বেদখল ছিল এতদিন।
খাল উদ্ধারের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, এই খালে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক হলে আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর হবে। খালকে কেন্দ্র করে সুন্দর একটি পরিবেশ ফিরে আসবে। আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন ভালোভাবে সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে কর্তৃপক্ষে সেরকম পরিবেশের ব্যবস্থা করে দেয়, এটিই এখন আমাদের দাবি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধাপে ধাপে স্থানীয় ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও কয়েকটি আবাসন প্রকল্প মিলে এই খালটি দখল করে। মাঝে এটি পুরোপুরি ভরাট করে ট্রাকস্ট্যান্ড বানানো হয়। পরে ওয়াসা থেকে খালটির দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সেই স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে নতুন করে খাল খননের মাধ্যমে তাক লাগিয়ে দেন।