হাজারীবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ করেছেন এক নারী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নিচ্ছে না বলে দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চলছে।
পুলিশ বলছে, এনসিপির এক নেতার বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী নারীর ভগ্নিপতি মামলা করতে গত শনিবার হাজারীবাগ থানায় যান। তিনি দাবি করেন, আট বছর ধরে ওই ছেলের সঙ্গে তার শ্যালিকার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত জুন মাসে তার শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেন। ওই ছেলের বাড়ি হাজারীবাগে হওয়ায় তিনি থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এনসিপির নেতা হওয়ায় থানা মামলা নেয়নি।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার বাড়ি হাজারীবাগে। কিন্তু যে বাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা কামরাঙ্গীরচর এলাকার মধ্যে পড়েছে। তাই ভুক্তভোগীকে কামরাঙ্গীরচরে যেতে বলা হয়েছে। মামলা না নেওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, যে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাজারীবাগ থানার এনসিপির নেতা বলে ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। এনসিপির কয়েকজন নেতাকর্মী থানায় এসেছিলেন। তাদের দাবি, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তাকে যেন ফাঁসানো না হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একটি জিডি করে ঘটনা তদন্ত করছে।