নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রী রেখা আক্তার (১৭) এর মরদেহ ২ দিন পর পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার সকালে মরদেহটি পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার কয়লাটি ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের একটি খালে পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর উপজেলা বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর কেরনখলা-খালিশাপাড়া ফেরিঘাটে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয় রেখা।
নিহত রেখা আক্তার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের খালিশাপাড়া এলাকার মহরম মিয়ার মেয়ে। সে কেরনখলা মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসা ছাত্রীসহ ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ডিঙি নৌকা কেরনখলা ফেরিঘাট থেকে খালিশাপাড়া ঘাটে যাচ্ছিল। নৌকাটি কেরনখলা ঘাট থেকে রওনা করে সামনে কিছু দূর যাওয়ার পর ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা যাত্রীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্ষা পায়। কিন্তু তাদের মধ্যে মাদরাসা ছাত্রী রেখা নিখোঁজ হয়। এরপরই ময়মনসিংহ থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। কিন্তু দুইদিনের অভিযানেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রী রেখার। আজ শনিবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পাশ্ববর্তী উপজেলা কলমাকান্দার কয়লাটি ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার একটি বিলে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে।
ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ছোট নৌকায় বেশি যাত্রী নিয়েছিল চালক। তখন আমি বেশি লোকজন নৌকায় উঠানোর কথা নিষেধ করলেও শুনেনি। এরপর কিছুটা সামনে যেতেই নৌকার নিচে ভাঙা দিয়ে পানি উঠতে থাকে এবং ডুবে যায়।
দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু বলেন,আজ সকালে শ্যামনগর এলাকার একটি বিলের পাশে রেখার লাশের খোঁজ মেলে। এটিই রেখার লাশ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেখানে থেকে তার লাশ আনা হচ্ছে।
দুগাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, আজ সকালে পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার কয়লাটি ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের খাল থেকে নিখোঁজ ছাত্রী রেখা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।