বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত, পুরুষদের মধ্যে অনেকেই গোপনে অন্যের স্ত্রীতে আকৃষ্ট হন। একজন বিবাহিত পুরুষ যদি অন্য নারীর প্রেমে পড়েন কিংবা নতুন সম্পর্কে জড়ান, তার অর্থ হলো তিনি বিবাহিত জীবনে পুরোপুরি সুখী নন।
বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে প্রতারণার সম্ভাবনা নারীদের তুলনায় বেশি। একজন বিবাহিত পুরুষ বিভিন্ন কারণে অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন।
অপূর্ণতা থেকেই হয়তো সঙ্গীর/স্ত্রীর কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা থাকে পুরুষের।
বিবাহিত/অবিবাহিত যেকোনো পুরুষের চোখে পরস্ত্রী সবসময় এতো আকর্ষণীয় কেন? আসুন, জেনে নেয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ-
* স্ত্রীর/সঙ্গিনীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলা
* পুরনো অভ্যাস/পুরোনো প্রেম
* নিজের স্ত্রীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত সুন্দর
* ফাঁদে পড়া
* ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হয় না
সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ মানুষই প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ককে বেশিদিন আকড়ে ধরে রাখতে পারেন না।
জীবনভর একই ছাদের নিচে থাকেন বটে, তবে সংসারের নিয়মে। মনে মনে হাঁপিয়ে ওঠলেও, থাকতে হয় সংসার নামক গণ্ডিতে বন্দী। সেই বন্দী জীবনে একটুখানি বৈচিত্রের ছোঁয়া পেতে অনেক পুরুষই আকৃষ্ট হন অন্য নারীর প্রতি।
অনেক পুরুষ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অন্যের স্ত্রীর তুলনা খোঁজার চেষ্টা করেন। এমনকি নিজের বিবাহিত জীবনকে অন্যদের সঙ্গে অন্য দম্পতির তুলনা করেন ও ধারণা করে বসেন, অন্য লোকের স্ত্রী তার নিজের স্ত্রীর চেয়ে অনেক ভালো।
এসব ক্ষেত্রে প্রেমিক পুরুষরা শুরু করেন নতুনের খোঁজ। নিজের স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে অন্যের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। ভাবেন সুখের খোঁজ হয়তো তিনি পেয়ে গেছেন। তার কাছে নদীর ওপারের বন বেশি সবুজ লাগার মতোই ঘটে যায় ব্যপারটা।
দাম্পত্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে কিংবা একঘেয়েমি বোধ হলে অনেক পুরুষই অন্যের স্ত্রীর প্রতি বিশেষ নজর দেন। বেশিরভাগ অসুখী পুরুষই অন্য নারীতে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় বা বোঝাপোড়া ভালো না হওয়ার কারণে।
অনেক বিবাহিত পুরুষই নিজের সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। প্রতিদিন একই চেহারা, একই সাজসজ্জা, একই আচরণ মনে হতে থাকে। তাই অন্য নারীর দিকে পুরুষের নজর চলে যায়।
তাছাড়া পুরুষের চাহিদামতো সব নারীর শারীরিক সক্ষমতাও এক থাকে না। দিনের পর দিন ছাড় দিতে গিয়ে একসময় পুরুষটি সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন।
আর তখনই জড়িয়ে যান নতুন কোনো সম্পর্কে। তখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয় পরস্ত্রী।
এক্ষেত্রে, পরস্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক করার সুবিধা হলো দায়িত্ব কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন প্রতিজ্ঞার মধ্যে জড়াতে হয় না। ভরণপোষনের দায়িত্ব থাকে না। আর অনেক পুরুষের কাছেই এটা একটা প্লাস পয়েন্ট।