দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) এর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কাজ চলার কথা থাকলেও বিকেল ৪টা নাগাদ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এরপর চালু করে দেওয়া হয়েছে সবগুলো সার্কিট। বর্তমানে সারা দেশে পুরোদমে চলছে এই ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ।
এ বিষয়ে মির্জা কামাল আহমদ বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আরো দুই ঘণ্টা আগেই শেষ হয়েছে। এরপর সবগুলো সার্কিট ওপেন করা হয়েছে। এখন স্বাভাবিক ব্যান্ডউইথ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে, সাবমেরিন ক্যাবল সিমিইউ-৪ সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক গৃহীত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য আজ (১৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এ ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ রাখা হয়।
এ কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা সাময়িক ব্যাহত হয়েছে। যদিও এজন্য গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে বিএসসিপিএলসি। তবে এই সময় কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সিমিউই-৫ চালু ছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ ক্যাবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সিমিউই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএল-এর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সিমি-দউই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএল এর ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।