গাজীপুরের টঙ্গীতে পাওনা টাকা না দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে ও পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীর পক্ষে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার (২৫ আগষ্ট) টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় মাইকো ইন্টারন্যাশনালের (সাবেক চুড়ি ফ্যাক্টরি) সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি ২০১৭ সালের জুন থেকে টঙ্গী মিলবাজার এলাকায় জনৈক আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর মালিকানাধীন মাইক্রো ইন্টারন্যাশনালের প্লটে অগ্রিম ১৫ লাখ টাকা প্রদান ও স্কয়ার ফিট হিসেবে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
২০২০ সালের ১৭ জুলাই তিনি তার মনোনীত প্রতিনিধি বদিউজ্জামানের কাছে অগ্রিম দেয়া ১৫ লক্ষ টাকা ফেরত নিতে বলেন। পরে ওই প্লটের ব্যবসায়ীরা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশের মধ্যস্থততায় বিষয়টি নিয়ে মালিক ও ভাড়াটিয়া পক্ষ আপস মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
একপর্যায়ে প্লট মালিক বিষয়টি সমাধানকল্পে র্যাবের শরণাপন্ন হন। এ সময় ওই ব্যবসায়ীকে দুই মাসের সময় দিয়ে সকল ভাড়া পরিশোধ করে গোডাউন ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনি ভাড়া বাবদ ১৪ লাখ টাকা প্লট মালিকের ব্যাংক হিসেবে জমা দেন।
এরপরও কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া ২০২১ সালের ১০ মার্চ প্লট মালিক মালামালসহ ওই ব্যবসায়ির গোডাউনের গেট বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় অগ্রিম পাওনা টাকা না দিয়েই ব্যবসায়ী মনিরুলকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে সে অগ্রিম ও ব্যবসায়িক ক্ষতি হিসেবে প্লট মালিকের কাছে ৩০ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করেন। এই টাকা চাইলেই প্লট মালিক তাকে বিভিন্ন প্রকার মামলার হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তার পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্থানীয় শহীদ সুন্দর আলী সড়কে বিক্ষোভ করে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। একই সাথে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ওই ব্যবসায়ী। একই ধরনের অভিযোগ করেন আরো অনেকে।
এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুন্নবী, সুলতান আহমদ, মোজাম্মেল হক দুলাল, নূর আলম, আনোয়ার হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।