চলমান বন্যায় ১১ জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টিই আছে, উপজেলার সংখ্যা ৭৪টি। ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। পানিবন্দি পরিবার ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি।
৭৪ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫৪১টি। এখনও পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন লোক রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সমূহের জন্য এ পর্যন্ত মোট নগদ সহায়তা হিসেবে ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন এবং শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে ১৫ হাজার বস্তা। এছাড়া, শিশু খাদ্য দেয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার মতো। আবার গো খাদ্য কেনার জন্য দেয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায়, দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি হ্রাস পাবে। তবে সমুদ্রে একটি লঘু চাপ সৃষ্টির ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এতে নতুন কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
এখন পর্যন্ত বন্যায় ২৭ জন মারা গেছে- জানিয়ে কে এম আলী রেজা বলেন, এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিন জন মারা গেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।