খুলনায় হোটেল ওয়েষ্টার্ন ইন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত নারীর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে পুলিশ। কখনও শান্তা ইসলাম আবার কখনও আসামা পরিচয় দিয়ে হোটেলে অবস্থান নিতেন তিনি। এছাড়া উদ্ধার হওয়া আইডি কার্ডটিও ভুয়া।
মরদেহ উদ্ধারের সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬টি মোবাইলের সিম উদ্ধার করে। যার একটি অকেজো এবং অপরটি বিদেশী ও বাকী চারটি সচল আছে। প্রত্যেকটি সিম বিভিন্ন ব্যাক্তির নামে উত্তোলন করা। তার পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুলে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানায়।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, মৃত ওই নারী প্রতারক স্বভাবের ছিলেন। তার পরিচয় নিয়ে রিতিমত আমরা বিভ্রান্তিতে রয়েছি। ওই নারীর কাছে থাকা সনদের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে তার পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
তাছাড়া তার কাছে কয়েকটি মোবাইল কোম্পানীর সিম পাওয়া গেছে। সেগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির নামে উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া তার বালিশের পাশ থেকে দু’পাতা ঘুমের ওষধ উদ্ধার করা হয়। যার প্রতিটি পাতা খালি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই মহিলা গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল।
ওই নারী খুলনার বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন ছদ্মনামে অবস্থান কারতেন এবং সেখানে ১০-১২ হাজার টাকা বিল বাধিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতেন।
ওসি জানান ওই নারীর মোবাইল ফোনের ইতিহাস পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে তিনি নিজেকে কখনও শান্তা ইসলাম আবার কখনও আসামা নামে পরিচয় দিত সে। এছাড়া আমরা তার কাছ থেকে দেড়শ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরও জানান।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার জন্ম সনদ দেখিয়ে খুলনার হোটেল ওয়েষ্টান ইনে ওঠেন ওই নারী। সেখানে তিনি নিজেকে শান্তা ইসলাম ওরফে আসামা নামে পরিচয় দেন। শুক্রবার সকালে ওই নারী হোটেলে নাস্তা করেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার কক্ষ পরিস্কার করতে গেলে ভেতর থেকে কোন সাড়া না দেওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হোটেলে পুলিশ গিয়ে কক্ষের ছিটকনি ভেঙ্গে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়।