বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কেন জরুরি
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৫৩ PM
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলায় যে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে-তার মধ্যে তুলনামূলকভাবে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারতের দ্য হিন্দুস্থান টাইমস পত্রিকা থেকে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যায় ২৬ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আরও জানা যায়, ত্রিপুরা রাজ্য ও বাংলাদেশের সীমানার মাঝখানে প্রায় ১২০ কিলোমিটার জায়গা রয়েছে, যেখানে বিগত সপ্তাহে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টির পানি ফেনী জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাছাড়া গত সপ্তাহে বাংলাদেশের ওই এলাকাগুলোতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৩ সালের ২১ আগস্ট ত্রিপুরায় একদিনে ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৪-এর ২০ আগস্ট একদিনে ৩৭৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তাছাড়া ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ওই অঞ্চলে ৫৩৮.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা পূর্ব ধারণার চেয়ে ১৫১ শতাংশ বেশি। ফলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও বাংলাদেশের বৃষ্টিপাতের পানি মিলে ওই অঞ্চলে বন্যা এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।

জানা যায়, ভারত ও বাংলাদেশের মাঝখানে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানির উচ্চতা ৯৪ মিটারের চেয়ে বেশি হওয়ায় বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়। তবে নয়াদিল্লির তথ্য অনুযায়ী, উজানের পানির চাপে বাঁধটি খুলে গেছে। বাংলাদেশে বন্যায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৭ লাখেরও বেশি মানুষ। ভারতের অভ্যন্তরে লাগোয়া সীমান্তের জেলাগুলোও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারতের ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের বৃষ্টিপাতও বাংলাদেশে বন্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়নে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় বৃষ্টিপাতের পানি নদীপথে মেঘনা বা যমুনা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যেতে পারছে না। ফলে ওই এলাকায় বন্যার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসব অঞ্চলে ৩০ বছর আগে নিয়মিত বন্যার প্রাদুর্ভাব হতো। প্রায় ১৫ বছর আগে এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল। একসময় গোমতী নদীকে কুমিল্লার দুঃখ বলা হতো। পরবর্তীকালে গোমতী নদীতে বাঁধ নির্মাণ করায় বন্যার প্রাদুর্ভাব কমে যায়। 

বর্তমানে এ অঞ্চলে আবারও বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফেনীর পাশে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদী শাসন এ অঞ্চলে বন্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধের কারণে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় মেঘ উত্তরে সরে যেতে পারেনি। ফলে স্থানীয়ভাবে নিম্নচাপ হওয়ায় ওই এলাকায় অতিবৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এটি বন্যার ব্যাপকতার জন্য অনেকটা দায়ী।

দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বন্যার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৭১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৪৩ বছরে ৭৮টি বন্যায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আর্থিকভাবে প্রায় ১২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

শুধু ২০১৪ সালের বন্যায় প্রায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল, যা ছিল দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বন্যায় প্রায় ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ওই বন্যায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়। মোটা দাগে বলা যায়, বন্যা বাংলাদেশের একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ায় এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

বর্তমানে বন্যা মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় সাহায্য অব্যাহত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলগুলো দলমত নির্বিশেষে বন্যার্তদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসার দাবিদার। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সব মানুষের একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার থাকা উচিত। এখনো বন্যাদুর্গত এলাকায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। তাছাড়া কৃষি, পশুপাখি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মানুষের ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মৎস্য খামার, ফসলের খামার, ডেইরি ফার্ম, মুরগির খামার ও কাঁচা-পাকাবাড়ি সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক নেতারা এবং বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। বন্যা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।

এক্ষেত্রেও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের সাহায্য অব্যাহত রাখা দরকার। তাছাড়া বন্যায় যাদের কৃষি খামার ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিনা সুদে কৃষকদের মধ্যে অর্থ বিতরণ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক ফসলের বীজ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। নতুবা বন্যাদুর্গতদের পক্ষে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।

বন্যা এদেশের একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই এ সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে উন্নত দেশের মতো ট্রান্সবাউন্ডারি (অভিন্ন সীমানা) নদী ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বের ১৫৩টি দেশে প্রায় ২৮৬টি ট্রান্সবাউন্ডারি নদী আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহমান প্রায় ৫৪টি নদী ট্রান্সবাউন্ডারি। শতাংশের হিসাবে বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ ট্রান্সবাউন্ডারি নদীই বাংলাদেশে অবস্থিত।

এ নদীগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা অতীব জরুরি। নতুবা এক দেশে বৃষ্টি হলে অন্য দেশে বন্যার প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা অনেক বেশি। পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী বাংলাদেশে বন্যার জন্য অনেকটা দায়ী। এখন পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে পানিচুক্তির বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে। যতদিন ভারতের সঙ্গে এ বিষয়টির মীমাংসা না হবে, ততদিন পর্যন্ত বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়ানো অনেকটা কঠিন হবে।

ফারাক্কা বাঁধকে কেন্দ্র করে ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। পরে ২০১০ সালে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। ওই পানিচুক্তিটি ২০২৬ সাল নাগাদ নবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে। তিস্তা নদীর পানিচুক্তির বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বাংলাদেশের সঙ্গে পানি অংশীদারত্বের বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। দুদেশের মধ্যে সঠিকভাবে পানিবণ্টন না হলে বর্ষাকালে পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে প্রতিবছর বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আন্তর্জাতিক পানি আইন অনুযায়ী, ট্রান্সবাউন্ডারি নদীর পানিবণ্টন দুদেশের মধ্যে সমান হতে হবে। এতে উভয় দেশই পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিকভাবে সমান লাভবান হবে। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী, ট্রান্সবাউন্ডারি নদীতে বিদ্যমান পানিসম্পদের ওপর উভয় দেশেরই সমান অধিকার রয়েছে। উজানের দেশ ভারত থেকে বন্যার পানি বাংলাদেশে চলে আসে। 

দুদেশের সীমানায় অবস্থিত নদীগুলোর মধ্যে ভারতে ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখ ও ডুম্বুর বাঁধ রয়েছে, যা দুদেশের মধ্যে পানি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যদি কোনো কারণে পানি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে বন্যার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মূলত বর্ষাকালে ভাটির দেশ বাংলাদেশে পানি বেশি চলে আসায় বন্যার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে পানির অভাব দেখা দেওয়ায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বৃষ্টিপাত অনিয়মিত হচ্ছে। কখনো বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় বন্যার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে। নদী এলাকায় অপরিকল্পিত স্থাপনা ও বাঁধ নির্মিত হওয়ায় নদীর গতিপথও পরিবর্তিত হচ্ছে। 

উজানের দেশ ভারত থেকে বছরে ১ বিলিয়ন টনের বেশি সেডিমেন্ট বা পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফলে তলদেশ ভরাট হয়ে নদীর গতিপথ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলেও বন্যা দেখা দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ফেনীর বর্তমান বন্যা।

ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ফেনী অঞ্চলের পানি স্থানীয় নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে দ্রুত প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পানি জমে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যদি উজানের পানি ও বাংলাদেশের জমাকৃত পানি স্থানীয় নদীগুলোর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে দ্রুত প্রবেশ করানো যায়, তাহলে ওই এলাকায় বন্যার প্রাদুর্ভাব অনেকটা কম হবে। তাছাড়া পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, যাতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানি ধরে রাখা যায়। পরবর্তী সময় বাঁধের গেট খুলে দিলে জমাকৃত পানি স্থানীয় নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে দ্রুত নিষ্কাশিত হবে।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বন্যার প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্যা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই ভারতের সঙ্গে পানিচুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বন্যা সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাছাড়া বাঁধ নির্মাণ এবং ট্রান্সবাউন্ডারি নদী ব্যবস্থাপনায় উন্নত দেশের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

একইসঙ্গে বন্যার পানিকে সমস্যা হিসাবে না দেখে সম্পদ হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশে এমনভাবে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, যেন বাঁধটির সঙ্গে স্থানীয় নদীগুলোর সংযোগের মাধ্যমে বন্যার সময় অতিরিক্ত পানি বঙ্গোপসাগরে নিষ্কাশিত হয়। তাছাড়া ওই বাঁধের পানি পর্যটন শিল্প ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে লাগানো যেতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়, অভ্যন্তরীণ নদী, হাওড়, খাল, বিল ও নালার পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে বলে আশা করা যায়। ভবিষ্যতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে বন্যা বাংলাদেশের জন্য সমস্যা না হয়ে আশীর্বাদে পরিণত হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উচিত স্থায়ী সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া, নতুবা শস্য-শ্যামল বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যেতে পারে।

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম: অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত