ভারতের সঙ্গে পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে দ্রুতই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তর্জাতিক নদীতে আমাদের ভাগের একটি হিসেব রয়েছে। আমরা সেটি নিয়ে খুব শিগগিরই ভারতের সঙ্গে বসবো।
আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে কারো একার দাবি করা ঠিক নয়। আমার মানুষদের পানি দিয়ে পরে আমি অন্য মানুষের কথা ভাবব, এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা পানির এই হিস্যা নিয়ে জনমানুষের কথা শুনে আলোচনার পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করব। তবে এই মুহূর্তে আরও কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণে হয়ত আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
১৯৯৭ সালে যে আন্তর্জাতিক আইনটি আছে সেটা কেবল নদী না ভূগর্ভস্থ পানি নিয়েও। কিন্তু সেটা সার্চের কোন রাষ্ট্রই স্বাক্ষর করেনি এবং প্রায় কোন উজানের দেশই স্বাক্ষর করেনি বলা হয়েছে। ৩৬টি রাষ্ট্র অনুসাক্ষর করলেও কার্যকর হবে।
সেই ১৯৯৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন চালু হলো ২০১৪ সালে এসে। তার কারণ ৩৬টি দেশের স্বাক্ষর জোগা্র করতে এত সময় লাগলো। এটি আমাদের বলে দেয় উজানের দেশগুলো যেখানে ন্যায্যতা ও সমতা পাওয়ার কথা আছে সেগুলো স্বাক্ষরে আগ্রহী নয়।
আমি আশ্বস্ত করতে চাই বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালের এই কনভেনশন বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করলে তা বাংলাদেশের পক্ষে যাবে কিনা এটা সক্রিয়ভাবে এবং ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। কিন্তু এখানে এতদিন যখন বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেনি তার নিশ্চয়ই লিখিত কারণ আছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সে কারণগুলো এসেছে।
আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে তারা কেন আপত্তি উত্থাপন করেছে। আমরা যখন উজানের কথা বলি আমাদের উজান শুধু ভারত না আমাদের উজান নেপাল ও চীন থেকে ও আসে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।