সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের মীরাটের সেনানিবাস বা ক্যান্টনেমন্ট এলাকার একটি গোপন ঠিকানায় ‘মুভ’ করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
মীরাট সেনানিবাস এলাকায় বিশেষ একটি আধাসামরিক বাহিনীর সুরক্ষিত গেস্ট হাউস বা অতিথিনিবাসে তাকে রাখা হয়েছে বলে সেই বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গেই মীরাটে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও এই বিষয়ে এখনই কেউ পুরোপুরি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
দেশটির নিরাপত্তা সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘ভিভিআইপি অতিথির’ সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় দিল্লি থেকে তাকে আপাতত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম দিকেই, মোটামুটি দিন পনেরো আগেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি ইঙ্গিত দিচ্ছেন। যদিও এই আকস্মিক ‘মুভ’ নিয়ে বিস্তারিত খুব বেশি কিছু এইমুহুর্তে জানা যায়নি।
গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সামরিক এয়ারক্র্যাফটে করে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। তাকে সেখানে স্বাগত জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপেদষ্টা অজিত ডোভাল।
তখন ভারতের ধারণা ছিল- দিল্লিতে খুব অল্প সময় থেকে এরপর শেখ হাসিনা লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন। তাই প্রথমে তাকে ওই বিমানঘাঁটির টার্মিনাল ভবনেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনাকে আসতে দিতে ব্রিটেন তখন রাজি না হওয়ায় ভারতকে সেই পরিকল্পনা বদলাতে হয়।
গাজিয়াবাদের ‘হিন্ডন’ মূলত ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটি, সেখানে ভিভিআইপি অতিথিদের লম্বা সময়ের জন্য থাকার খুব একটা সুব্যবস্থা নেই। যখন এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে- খুব সহসাই শেখ হাসিনার তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তখন দু’চারদিনের ভেতরেই তাকে সরিয়ে আনা হয় দিল্লিতে (বা দিল্লির একেবারে লাগোয়া) একটি সুরক্ষিত ‘সেফ হাউসে’।