সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে স্ববিরোধী বক্তব্য দেয়ায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে একাধিকবার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধা, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
পরে আবারও তারা বঙ্গবভন ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
প্রথমে রাত ৯টার দিকে তিন থেকে চারশ জনের একটি দল বঙ্গভবনের সামনের তারকাঁটার ব্যারিকেডে ধাক্কাধাক্কি করে। ব্যারিকেডের ঠিক পেছনেই অবস্থান ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যদের। একপর্যায়ে ব্যারিকেড টেনে সরিয়ে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এরপরই পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া দেয় আন্দোলনকারীরা। উত্তেজিত জনতার অতর্কিত হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসময় আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এসময় সেনাবাহিনীর সঙ্গেও আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের বঙ্গভবনের ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
রাবার বুলেটে আহত ২
বঙ্গভবনের সামনে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টার সময় গুলিতে এক শিক্ষার্থীসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া একজন সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল ও শফিকুল ইসলাম (৪৫)। সাউন্ড গ্রেনেডে আহত তরুণের নাম আরিফ (২০)। গুলিবিদ্ধ ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আহত ফয়সাল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করি। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধার মুখে পড়ি। ওখানে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ ছররা গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় কয়েকটি গুলি এসে আমার পায়ের গোড়ালিতে ও কোমরের নিচে লাগে।
গুলিবিদ্ধ অপর ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে আমরা বঙ্গভবনের সামনে এসেছিলাম। আমি ব্যবসা করি। এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ডান পায়ে গুলি লাগে।