‘ক্যাম্পাস পেট্রলের’ পরিচয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়েরই একদল শিক্ষার্থী হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নওরীন সুলতানা তমা তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তমা লেখেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৯টার দিকে তিনি উদ্যানের ভেতরের চায়ের দোকানে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরার সময় দেখতে পান কিছু শিক্ষার্থী ফটকে তালা দিচ্ছেন। তাদের নিজের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেও তালা দেওয়া আটকাতে পারেননি। এদিকে রমনা কালীপূজা থাকায় তিনি ছাড়া আরও অনেকেই আটকা পড়েছিলেন সেখানে। এক পর্যায়ে শিক্ষকদের ফোন করে সেখান থেকে উদ্ধার হন তিনি।
হেনস্তার বিচার দাবি করে তিনি লেখেন, ‘আমি সেখানে কোনও অযৌক্তিক প্রশ্ন করিনি, অযথা কথা বলিনি। তবুও আমাকে হেনস্তার শিকার হতে হলো। আমি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন জার্নালিস্ট। আমি কোনও অন্যায় করিনি, কিন্তু তবুও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার অ্যাগেইনস্টে মব লেলিয়ে দিয়ে আমাকে ঘিরে ধরে আমার পরিচয় জানতে চাওয়া, আমার হাত ধরা, আমার ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। আমি পুরো ব্যাপারটা এখনও হজম করতে পারছি না, আমি ট্রমাটাইজড। আমি আমার সঙ্গে হওয়া এই হেনস্তার বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস পেট্রলের মাধ্যমে কোনও মব তৈরি করার বিরুদ্ধে প্রশাসনের যৌক্তিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নম্বরে কল দিলে কল ধরেন সহকারী প্রক্টর নুরে আলম সিদ্দিকী। তিনি জানান, প্রক্টর ব্যস্ত থাকায় তিনি কল ধরেছেন। তমার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাজুড়ে আমি সেখানে ছিলাম। তমার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত আলোকে বিচার করা হবে।
ক্যাম্পাস পেট্রলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে টিএসসি স্টুডেন্ট সাপোর্ট সেন্টার থেকে। সেই সিদ্ধান্ত আলোকে প্রতিদিন ১২ জন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে পেট্রলিং করবে। তবে এটা এখনও অফিশিয়ালি শুরু হয়নি।