জানুয়ারি মাসের শেষে এসেও সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছায়নি। এ সংকটের মধ্যেই খোলাবাজার থেকে প্রায় ১০ হাজার বই জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রাজধানীর সূত্রাপুরের বাংলা বাজার ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব বই জব্দ করা হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের এসব বইয়ের বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো– সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল (৫৫) ও দেলোয়ার হোসেন (৫৬)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি চক্র বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলিতে বিভিন্ন গোডাউনে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির উদ্দেশে মজুদ করেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই ট্রাক বই জব্দ করা হয়। যেখানে বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ১০ হাজার বই রয়েছে। সিরাজুল ও দেলোয়ারের বাইরেও আরও বেশ কয়েকটি চক্রের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে ডিবির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
জব্দ করা বইগুলোর বিষয়ে আদালতকে জানানো হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এনসিটিবিকে হস্তান্তরের কথাও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘বইগুলো পরিবহনের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, একটা চক্র বইগুলো নিয়ে যায়। এরপর অতিরিক্ত বই এনে খোলা বাজারে বিক্রি করে।’
অতিরিক্ত বই ছাপানোর সুযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা সরকারি কার্যাদেশ পেয়ে থাকে এ রকম ১১৬টি প্রেসে বই ছাপানো হয়। ঢাকার বাংলাবাজার এবং ঢাকার বাইরেও কয়েকটি প্রেসে ছাপানো হয়। অতিরিক্ত বই ছাপানোর সুযোগ আছে কিনা বিষয়টা তদন্তাধীন। যদি অনুসন্ধানে পাই অতিরিক্ত বই ছাপানো হয়েছে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনসিটিবি অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কেউ জড়িত কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘এনসিটিবির দুটা গোডাউন রয়েছে, একটা তেজগাঁও ও আরেকটা টঙ্গীতে। সেখানেই বইগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এর বাইরে কোথাও সংরক্ষণের সুযোগ নেই। ভেতরের কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’