আজ দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কারাগারে মারা গেছেন বলে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে জান যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মৃত্যুর তথ্যটি সঠিক নয়।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, কারাগারে বিচারপতি মানিকের মৃত্যুর খবরটি সত্য নয় বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বিশ্বস্ত কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাধারণত, সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরীর মতো আলোচিত ব্যক্তিত্ব মৃত্যুবরণ করলা তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতো। তবে নির্ভরযোগ্য কোনো উৎসে এমন তথ্য পাওয়া না যাওয়ায় প্রচারিত দাবিটি ভিত্তিহীন বলে প্রতীয়মান হয়।
গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। পরদিন সিলেটের বিচারিক হাকিম আলমগীর হোসেন বিচারপতি মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তবে ওইদিন বিকালে আদালতে তোলার সময় আলোচিত এই বিচারপতিকে লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতা ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে। এসময় আক্রোশের মুখে তার অণ্ডকোষে ভারী কিছু দিয়ে অতর্কিত আঘাত করা হয়, যার ফলে প্রচন্ড আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
পরবর্তীতে গত ১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবং সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারাগারেই আছেন তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল `সময় টিভি' এর ফেসবুক পেজে “আমার জন্য দোয়া কইরেন, আকুতি পলকের” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বিচারপতি শামসুজ্জামান মানিককে সুস্থভাবে প্রিজন ভ্যানের দিকে হেটে যেতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে তার অসুস্থতা নিয়ে গণমাধ্যমে আর কোন সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। অর্থাৎ তার বিষয়ে সর্বশেষ প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, তিনি এখন কারাগারে আছেন। সুতরাং, সাবেক বিচারপতি শামসুজ্জামান মানিক কারাগারে মারা গেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন।