গাজীপুরের টঙ্গীর পশুর হাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার দুপুরে পশুর হাট থেকে তাদের আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বৃহত্তর টঙ্গীর একমাত্র পশুর হাট। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব ও নানা প্রতিকূলতায় এখনো জমে উঠেনি বৃহত্তম এই পশুর হাট।
ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, মহাসড়ক থেকে পশুবাহী গাড়ি আটকে জোরপূর্বক হাঁটে ঢোকানো, ব্যাপারী ও গাড়ি চালকদের মারধরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে এই হাঁটে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইজারাদার কমিটি। অভিযোগের ভিত্তিতে পশুর হাটে অভিযান চালিয়ে তিন বিএনপি কর্মীকে আটক করে যৌথবাহিনী।
আটকৃতরা হলেন, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ মিয়া (৩৬), জাকারিয়া (৪৭) ও শিপন(৩৩)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই কোটি ১০ লাখ টাকায় এই হাটের ইজারা পেয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহবায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন ও টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম কিরণ। অভ্যন্তরীণ বিরোধীদের জেরে বিএনপির বঞ্চিত একটি গ্রুপ ও তাদের অনুসারীরা এই হাট থেকে পশু কিনবেন না বলে খবর চাউর হয়েছে। একই সাথে পশুর উপস্থিতিতে বাঁধাবিঘ্নের নানা অভিযোগ উঠায় সেনাবাহিনী টহল জোরদার করেছে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বসির মিয়া বলেন, ছয়টি গরু নিয়ে এই হাঁটে আসছি বিক্রির জন্য। উপযুক্ত দাম না পওয়ায় এখনো একটিও বিক্রি করিনি।
হাটের ইজারাদার ও টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন বলেন, তিনজনকে আটকের বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে হাঁটে কোন বিশৃঙ্খলা নেই। কি কারনে তাদের আটক করা হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। জোর পূর্বক পশু আনতে, দুই পক্ষ থেকে হাসিল আদায় করতে যেন না পারে সেদিকে আমরা সতর্ক আছি। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাব দায়িত্ব পালন করছে। ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিন জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে ।