পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের অন্যতম প্রধান সীমান্তপথ তাফতান ক্রসিং ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান শহর থেকে প্রায় ৫৫ মাইল (প্রায় ৮৮ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত। ছবি: বানারাস খান / এএফপি / গেটি - ফাইল ছবি
বেলুচিস্তানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি জানান, চাগাই, ওয়াশুক, পাঞ্জগুর, কেচ ও গাদার জেলার সব সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে জনসাধারণের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
চাগাই জেলার সীমান্ত কর্মকর্তা আতাউল মুনিম বলেন, “পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো পাকিস্তানি নাগরিক ইরানে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ইরানে অবস্থানরত পাকিস্তানিরা দেশে ফিরতে পারবেন।”
তিনি আরও জানান, সোমবার (১৬ জুন) ইরান থেকে প্রায় ২০০ পাকিস্তানি শিক্ষার্থীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ইরান ও ইরাক থেকে এ পর্যন্ত ৪৫০ জন হজযাত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং আরও ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। দুই দেশই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সোমবার বলেন, “ইসরায়েলের পরমাণু কার্যক্রম অনিয়ন্ত্রিত। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এখনই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।”
প্রসঙ্গত, সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান ও শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। সম্পর্ক সবসময় সহজ ছিল না।
বর্তমানে পাকিস্তান-ইরান বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ভবিষ্যতে ১০ বিলিয়নে উন্নীত করার লক্ষ্যে দুই দেশ কাজ করছে।
সূত্র: আল জাজিরা
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |