নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে ১৬ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে মারধর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান (৫০) এর বিরুদ্ধে।
বর্তমানে ওই কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীটি সহজ-সরল প্রকৃতির। তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত মান্নান বিভিন্ন সময়ে তাকে হয়রানি করে আসছিল। একপর্যায়ে মারধর করে ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। বিষয়টি প্রথমে পরিবার গোপন রাখলেও শারীরিক পরিবর্তনের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মেম্বারসহ গ্রাম্য কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তারা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এতে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী রাবেয়া খানম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “একজন প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে এমন পাশবিকতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অপরাধীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
শিবপুর মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, ভিক্টিমের ভাইয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয় এবং তাৎক্ষণিক আমরা ধর্ষণকারী ও ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টাকারী হানিফা মেম্বারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।