চিকিৎসার জন্য জুলাই আন্দোলনে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- কুরবান হোসেন, রানা হোসাইন, রুহান মাহমুদ রিশাদ, দিলাওয়ার হোসাইন, কুরবান শেখ, মেহেদী হাসান মেন্টু, সৈয়দ আবিরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ফ্লাইট ছিল তাদের। একই ফ্লাইটে ৭ জন জুলাই আহত উন্নত চিকিৎসার জন্য গেলেন।
জুলাই আহতদের মধ্যে সৈয়দ আবিরুল ইসলাম তার ফেসবুকে লেখেন, অবশেষে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ হচ্ছে। যদিও জানি না গুলি খাওয়ার ৯ মাস পর চিকিৎসা শুরু করে আর কতটা সুস্থ হওয়া সম্ভব, হয়তো ক্ষতি যা হবার তা হয়েই গেছে। তবুও এক বুক আশা নিয়ে, আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে রওয়ানা হচ্ছি। সবকিছু হয়েছে খুব শর্ট নোটিশে। গত কদিন প্রচণ্ড দৌড়াদৌড়ি আর ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। তাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি। দয়া করে ক্ষমা করবেন। আপনাদের সবার দোয়া আমার খুব প্রয়োজন। দোয়া করবেন যেন আমার চোখের দৃষ্টি কিছুটা হলেও ফিরে আসে, যেন আবার এই সুন্দর পৃথিবীটাকে মন ভরে দেখতে পারি। যাদের অক্লান্ত সহযোগিতা, ভালোবাসা আর পরিশ্রমের কারণে আমি আজ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছি তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
তিনি আরও লেখেন, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ফ্লাইট। রওয়ানা হচ্ছি তুরস্কের উদ্দেশে। দোয়া করবেন, যেন ফিরে এসে আবার নতুন করে দেখি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশটাকে মন ভরে, প্রাণ ভরে।