যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ট্যাম্পা শহরে ২০২৬ সালের ২৪ ও ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ‘৭ম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট’। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার ব্যবসা, সংস্কৃতি ও তরুণদের বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরার বিশেষ সুযোগ পাবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে ফেস্টের কনভেনর আতিকুর রহমানের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেএমএর প্রেসিডেন্ট আবুল হোসেন, বিটিভির সাবেক পরিচালক মীর আহসান, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরশেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট ইউএসএ আইএনসি-এর ডিরেক্টর কাজী জাহিদুল ইসলাম এবং ৭ম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট টেম্পা ফ্লোরিডা ২০২৬-এর অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান মো. জুলফিকার আলী।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও তরুণ প্রজন্ম সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে দেশের সাফল্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে।
আয়োজকরা আরও জানান, এবারের ফেয়ার ও ফেস্ট হবে সংস্কৃতি, ব্যবসা উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মিলনমেলা। এতে অংশ নিবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সরকারি প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পর্যটন পেশাজীবী, ও তরুণ উদ্যোক্তারা।
এবারে আয়োজনের মূল আকর্ষণে থাকছে গ্লোবাল ট্রেড শো ও এক্সিবিশন, আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিট ও বি-টু-বি নেটওয়ার্কিং, ইয়ুথ সামিট, তরুণ উদ্যোক্তা ও ভবিষ্যৎ নেতাদের প্ল্যাটফর্ম, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ফুড ফেস্টিভ্যাল ও কুলিনারি শোকেস এবং আর্ট ও ক্র্যাফট প্রদর্শনী।
২০২২ সালে এ উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। এরপর এটি অরল্যান্ডো, নিউইয়র্ক, ক্লিয়ারওয়াটার এবং ট্যাম্পা-বেতে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের আয়োজন হবে আরও বড়, বৈচিত্র্যময় ও প্রভাবশালী। এখানে বিশ্বের নানা দেশের পণ্য, সেবা ও উদ্ভাবন উপস্থাপন করা হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে। দক্ষিণ আমেরিকার বাজারে, বিশেষ করে চিলি ও ব্রাজিলের ক্রেতারা এতে অংশগ্রহণ করবেন।
ব্যবসায়িক অংশ ছাড়াও উৎসবটি সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের মিলনমেলা হবে। থাকবে, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সামিট ও নেটওয়ার্কিং সেশন, তরুণ উদ্যোক্তা ও ভবিষ্যৎ নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলন, বহুজাতিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিল্প ও কারুশিল্প প্রদর্শনী, বিভিন্ন দেশের খাবারের সমাহারে ফুড ফেস্টিভ্যাল।
আয়োজকদের মতে, এই উৎসব হবে ঐক্য, বৈচিত্র্য ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য উদযাপন।
বাংলাদেশের জন্য এই আয়োজনের গুরুত্ব ব্যাপক। দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবে। তরুণ উদ্যোক্তা ও স্টার্ট-আপরা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ পাবে। তরুণ প্রজন্মও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের স্কিল নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে।