চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ মুভির মুক্তি, বাংলা চলচ্চিত্র ও অন্যান্য প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারিফা বিথী
হাওয়া মুভি মুক্তি পাচ্ছে, অনুভূতিটা বলুন...
স্বাভাবিক। অনুভূতিটা ভালো। অনুভূতিটা আনন্দের, উল্লাসের।
বাংলা চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্য নিয়ে ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’র পর এবার হাওয়া নিয়ে... বৈচিত্র্য আসলে এ বিষয়টার সঙ্গে যায় না, বৈচিত্র্য বলতে বাংলা চলচ্চিত্রে একসময় দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে সময় ‘মনপুরা’ আসার পর সবশ্রেণীর দর্শক আবার হলমুখী হয়, সেটার ধারাবাহিকতাটা আসলে থাকেনি। তারপর ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’, ‘হাওয়া’ আসলো, এ মুভির পর কী আসবে সেটা জানি না। এক্ষেত্রে বৈচিত্র্যের কথা বললে অভিনয়ের ক্ষেত্রে বলা যায়, বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে না। এটা বৈচিত্র্য নয় একটা টার্নিং পয়েন্ট, মানুষ যতটুকু হলে ফিরতে শুরু করেছে ‘মনপুরা’ মুভি দিয়ে।
‘হাওয়া’ মুভি প্রচারের ক্ষেত্রে ভিন্নতা অবলম্বন করেছে...
সিনেমা প্রচারের ক্ষেত্রে হাওয়া কিছু করেনি। যা করার দর্শকই করেছে, ‘হাওয়া’ টিম শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট দিয়েছে, গান, ট্রেলার আর পোস্টার দিয়েছে। আর করার মধ্যে একটা কনসার্ট করেছে। এছাড়া যা কিছু করার দর্শক করেছে। একজন দর্শক একশ জনের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছে। যারা গান কভার করেছে, একজন থেকে দশজন, দশজন থেকে একশ, একশজন থেকে হাজার জন, হাজার থেকে লক্ষ জনে ছড়িয়ে গেছে। মানে মানুষই প্রচার করেছে, এটার আলাদা কোনো প্রচার খুব বেশি করিনি। যেহেতু আমরা যা করেছি, জিনিসটা দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে, সে কারণে দর্শক নিজ দায়িত্বে প্রচার করেছে।
এ ছবি কি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হাওয়া যুক্ত করতে পারবে?
অগ্রীম বলে লাভ নেই, যারা চাপা মারে তারা বলে। এ ছবি রিলিজ হওয়ার পর দর্শকই বুঝে নেবে ‘হাওয়া’ ইন্ডাস্ট্রির পালে হাওয়া দিল নাকি না সিনেমার নৌকা ডুবিয়ে দিল, সেটা বুঝিয়ে দেবে।
বাংলা সিনেমার ভবিষ্যত আপনি কেমন দেখতে পাচ্ছেন?
ভালো সিনেমা হলে ভবিষ্যত ভালো, ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ভালো, আর ৫টা, ১০টা ভালো সিনেমা আসতে পারে, এ ছবিগুলো যদি ভালো করতে পারে, মানুষ যদি হলে দেখে তাহলে ভবিষ্যত ভালো। আর কোনো সিনেমা যদি দর্শক না দেখে, তাহলে ভবিষ্যত অন্ধকার।
সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
-বাবু/ফাতেমা