শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
তালিকায় নবীরুলের ২৯ বই,খতিয়ে দেখবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
বুলেটিন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২, ৮:৩৭ PM
সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস বাড়ানোর জন্য বই কেনার তালিকায় কীভাবে অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই এল, তা এখন খতিয়ে দেখবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস বাড়ানোর জন্য বই কেনার তালিকায় সরকারি আমলাদের লেখা বইয়ের আধিক্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তালিকা খতিয়ে দেখার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম।

আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবার এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসব। বৈঠকে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বই কেনার প্রাথমিক তালিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যে উইং এই বইয়ের তালিকা করেছে তার প্রধানও ছিলেন তিনি।

প্রতিবছর অল্প অল্প করে কর্মকর্তাদের বই কেনার এই টাকা ৪ বছর ধরে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “তালিকা কি চূড়ান্ত হয়েছে? চূড়ান্ত তো হয়নি মনে হয়। লিস্টে আছে নাম। এটা চূড়ান্ত হবে না। এটা আমরা চূড়ান্ত করিনি। এটা আমরা দেখছি, এটার বিষয়ে অবশ্যই আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব। এটা অবশ্যই হবে না।”

অথচ একই দিন জ্যেষ্ঠ সচিব আলী আজম জানালেন, মন্ত্রণালয়ই তালিকার এক হাজার ৪০০ বইয়ের নাম ঠিক করেছে এবং এই তালিকা বিবেচনায় নিয়ে বই কেনার নির্দেশও এরইমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

বই কেনা শুরু হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বই কেনা শুরু হয়েছে কি না।”

বইয়ের তালিকা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, “হয়ত কেউ নাম দিয়েছে বা কোনো একটি বিষয় হয়ত আছে এখানকার। কিন্তু এটা তো আসলে চোখে পড়ার মতোই একটি বিষয়। যখন লিস্ট করা হবে, তালিকা যখন ফাইনাল হবে, তখন আমরা দেখব। হয়ত প্রাথমিক লিস্টে নামটি এসেছে। এটা তো ঠিক হয়নি। অবশ্যই ঠিক হয়নি।”

তিনি বলেন, “আমরা দেখব, আসলে বিষয়টি কী হয়েছে। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে ঠিক হয়নি। আমি যতটুকু জানি এটা চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই আমাদের চোখে এসেছে বিষয়টি। আমরা এরইমধ্যে এটা জেনেছি যে এরকম একটি বিষয় হয়েছে। এটা তো হবেই না, অসম্ভব।”

আলী আজম বলেন, “আমরা উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠাগার তৈরির একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী চার বছর, ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসক অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পাঠাগার গড়ে তুলব। এজন্য এই কার্যালয় ১ হাজার ৪০০ বইয়ের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছিলো। এটি এমন নয় যে এই ১ হাজার ৪০০ বই থেকেই বই কিনতে হবে। সেটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

“গতকাল সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ বিষয়টি আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবো, যদি এর সত্যতা প্রমাণিত হয়, কোনো সমস্যা যদি দেখি তাহলে এই তালিকা বাতিলের ব্যবস্থা নেবো বা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবো। এই সময় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

তিনি বলেন, “একজনেরই যে ২৯টি বই, এ তথ্য আমার জানা ছিল না। গণমাধ্যমে আসার পর এটা জানতে পেরেছি। আমরা এটি পরীক্ষা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এটি নিয়ে আগামীকাল সকলের সাথে বসবো, বসে সিদ্ধান্ত নেব।

“বই কেনার টাকা চার বছরের ভিত্তিতে, প্রতিবছরের অর্থ বরাদ্দ থেকে ছোট ছোট করে তাদের বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতিবছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থ ছাড় গত বছরের হয়েছে। যেহতু চার বছরের প্রকল্প, প্রতিবছরই অর্থ বরাদ্দ হবে।”

-বাবু/ফাতেমা
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত