প্রযোজক অভিনেতা অনন্ত জলিল। দীর্ঘ আট বছর পর গত কোরবানির ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘দিন : দ্য ডে’ সিনেমাটি। মুক্তির আগে থেকেই সিনেমার বাজেট নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে। অনন্তর দাবি সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকা। তবে অনেকেই তার সঙ্গে একমত হতে পারছিলেন না। সম্প্রতি সিনেমার ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন সিনেমার বাজেট ৫ কোটি টাকার মতো। এরপর থেকে অনন্ত জলিলের সমালোচনায় মুখর সবাই। এর মাঝেই এই প্রযোজক অভিনেতা জানালেন নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আর সিনেমা করবেন না তিনি। এখন থেকে অভিনয় করবেন অন্যদের প্রযোজনায়। একটি গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
অনন্ত জলিল বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে বাইরের সিনেমা করব। আমার প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে আর ছবি করব না’।
বাইরের ছবি করতে গেলে সেখানেও কি আপনার স্ত্রীকে নায়িকা থাকবে কি না জানতে চাইলে এই চিত্রনায়ক জানান, এটা আমার বিষয় নয়। সেটা ভাবার জন্য প্রযোজক-পরিচালক আছেন। তারা বিষয়টি দেখবেন। তারা যদি মনে করেন বর্ষাকে নিয়ে বানাবেন তাহলে বানাতে পারেন। সেখানে বাইরের নায়িকাও থাকতে পারে।
এর আগে শনিবার বিকেলে দিন দ্য ডে সিনেমার বাজেট ও সমালোচনার জবাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। অনন্ত জলিল নিজের ভেরিফায়েড সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। সেখানে তিনি মূলত মুর্তজা অতাশ জমজমের ইনস্টাগ্রামে অনন্তর প্রতি অভিযোগ বার্তা ও ‘দিন দ্য ডে’ ছবির বাজেট প্রসঙ্গে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।
ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় আমি কোনোভাবে পরিচালকের কাজে হস্তক্ষেপ করিনি। এটা উনি (মুর্তজা অতাশ জমজম) নিজের মতো করে বলেছেন। সিনেমাটির শুটিং তিনটি দেশে হয়েছে, সেই দেশের শুটিং আর্টিস্ট সবকিছুই মুতর্জা বহন করেছেন। মুর্তজা একটি স্ট্যাটাস দিলেন সেটা দেখে অনেকেই আমার নামে সমালোচনা শুরু করলেন। সত্যতা যাচাই না করে কেমন করে ছবিটিকে ৪ কোটি টাকার বলে হাজার হাজার নিউজ করলেন আপনারা। আপনাদের যাচাইয়ের সময় নাই? অনন্ত জলিল মানেই আলোচনা-সমালোচনার কম্পিটিশন লেগে যায়।
তিনি আরও বলেন, চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের সিনেমাটির শুটিংয়ের সব খরচ আমার দেয়ার কথা। আমি সেটা করেছি। যদি বাংলাদেশে ১ কোটি টাকা কিংবা ৪ কোটি টাকা লাগে সেটিও আমার দেয়ার কথা ছিল। সেখানে সেটা অতাশের দেখার কথা না। বিদেশের কোনো শুটিং খরচই আমার দেবার কথা না। মুর্তজারা যে এখানে এসেছেন তারা এয়ার টিকিটি কিনে এখানে এসেছেন, সেটাও আমার দেবার কথা না। সেক্ষেত্রে আমি তাকে ডলার কেন দেব সেটা আমার বোধগম্য না। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চুক্তিপত্র করি। যেটা সম্পন্ন ইংরেজিতে আমরা করি। যেটা উনি পোস্ট করেছেন সেটা বাংলায়। আসলে এ থেকে বুঝতেই পারছেন এ চুক্তিপত্র সঠিক নয়।
দীর্ঘ এই ভিডিও বার্তার একপর্যায়ে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে বদলে দিয়েছেন। আমার চোখ খুলে দিয়েছেন। অনন্ত জলিলকে আপনারা মেরে ফেলেছেন। এখন অন্য সেলিব্রেটির মতো আমিও বদলে গেছি। আমাকে আর আগের মতো আপনারা পাবেন না। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।
-বাবু/শোভা