হাওর প্রাকৃতিক প্রয়োজনেই সৃষ্টি, এর সমস্যাগুলো অভিযোজন করেই এগোতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সদরদপ্তরে এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, হাওর তার ইতিহাস-ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। আগে হাওরে মাছ ধরা একটা ঐতিহ্য ছিল এখন তা নেই।
প্রকৌশলীরা হাওর নিয়ে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা হাওরকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। হাওরের সমস্যা নিয়ে সজাগ আছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওর নিয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তাদেরই কাজ করার সুযোগ করে দিতে সচেষ্ট আছি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রথম সেশনে ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর ও আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওরে উন্নয়নের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। হাওরের সমস্যা সমাধানের জন্য শুধু তলদেশে খননের জন্যই সমাধান নয় বরং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন জরুরি। হাওরের মানুষদের জন্য প্রণোদনা দিতে হবে। হাওরের সব জমি কৃষিকাজে ব্যবহার করতে হবে। কৃষকের উন্নয়ন হলেই হাওরের উন্নয়ন হবে।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, হাওরের সমস্যা আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টাপ্ল্যান করেছেন। এই পরিকল্পনা বিশ্বের কোথাও নেই। বিশ্বের কোথাও শতবর্ষী পরিকল্পনা হয়নি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলেই হাওরের সমস্যা সমাধান সম্ভব।
সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক বলেন, হাওরের মানুষ সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। ঝড়, বন্যা, খড়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হাওরে। উন্নয়নের কারণে হাওরে বন্যা হয়নি।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, এটা বাংলাদেশের ভৌগলিক বাস্তবতার এক অনিবার্য প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যা প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব। তাই এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এর সঙ্গে যুগোপযোগী উদ্ভাবন ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবন ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ও টেকসই করতে হবে।
-বাবু/এসআর