জাপানের উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে বিধ্বংসী টাইফুন ‘নানমাদল’। পূর্বাভাস রয়েছে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘণ্টায় কমপক্ষে ২৫০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে সেটি আছড়ে পড়তে পারে জাপানের উপকূলে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়ুশুর দক্ষিণাংশের দ্বীপপুঞ্জ থেকে স্থানীয় মানুষজনকে নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাপানের আবহাওয়া দফতর। ইতোমধ্যে জাপানের অনেক অংশে বিমান ও ট্রেন চলাচল স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়গুলোর চেয়ে নানমাডলের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা।
জাপানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার বিকাল পর্যন্ত দক্ষিণ জাপানের মিনামি-দাইতো দ্বীপের প্রায় ১৭০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে অবস্থান এবং ২০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ঝড়ের কারণে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। সেইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতও হতে পারে।
মেরিকান নৌসেনার টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের মতে, নানমাদল একটি সুপার টাইফুন। আটলান্টিক মহাসাগরের ‘টাইপ ফাইভ’ ঝড়ের সঙ্গে তার তীব্রতার তুলনা চলে। ঘণ্টায় কমপক্ষে ২৫০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে সেটি আছড়ে পড়তে পারে জাপানের উপকূলে।
বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে কাগোশিমা অঞ্চলে ও কিয়ুশুর বিভিন্ন এলাকায়। কিয়ুশুর বিভিন্ন অংশে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রঃ রয়টার্স
-বাবু/এ.এস