ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সমাজে সংস্কৃতি না থাকলে সমাজ গড়ে ওঠে না। আমরা যারা সমাজে ডিগ্রিধারী বলে নিজেকে অনেক বড় মনে করি, সেই আমরাই সমাজের সঙ্গে প্রতারণা করি। এই প্রতারণা সমাজের কাছে তুলে ধরে সংস্কৃতিমনা মানুষগুলো।
শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে নাট্য সভা বর্ষের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাঙলা ভূখণ্ডের নাট্যচর্চার ইতিহাস স্বাধীনতার পর আরও বেগবান হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী প্রতিকূল পরিবেশেও দেশের নাট্যচর্চা থেমে ছিল না। বাংলাদেশের নাটকের অন্যতম চালিকাশক্তি দলবদ্ধ সংগ্রাম ও সচেতনতা। বাংলাদেশের গল্প বলা নাটকের কখনো মৃত্যু হবে না। কারণ ঐতিহ্যগতভাবে আমরা গল্প শোনার জাতি।
তিনি আরও বলেন, মানব উন্নয়নে নাট্যের ব্যাপকতা যুগে যুগে যেভাবে মোড় নিয়েছে। তাতে প্রমুখ প্রথিতযশা তাত্ত্বিক তাদের স্বতঃস্ফূর্ত মতামত ও ধারণার মাধ্যমে বিশ্বের নাট্যকলার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে উন্নয়নের নাট্যে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাদের উন্নয়ন নাট্য সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিষ্ঠিত নাট্য আঙ্গিক সম্পর্কে আলোচনা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে সৃজনশীল কর্মে বিশেষ অবদানের জন্য সন্মাননা প্রদান করা হয়।
সন্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, অভিনেতা ও নির্মাতা মনোজ সেনগুপ্ত, বরেণ্য অভিনেত্রী ও বাচসাসের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ, নজরুল গবেষক ও বিএডিসি চেয়ারম্যান এফ. এম হায়াতুল্লাহ, কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সচিব হাসানাত লোকমান, কথাশিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন, টিভি ব্যক্তিত্ব রেজাউর রহমান ইজাজ, নাগরিক টিভির অনুষ্ঠান প্রধান কামরুজ্জামান বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিনোদন বিভাগ প্রধান আলাউদ্দিন মাজিদ, টরেন্টো ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি. এম সোয়েব, সোনিয়া রহমান, অভিনেত্রী নিঝুম, আঁখি মণি, ছৈয়দ আবু সালেহ্ মো. তোহা, ক্যান্সার চিকিৎসায় অবদানের জন্য আলহাজ্ব ডা. খলিলুর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সফলতায় বিশেষ অবদানের জন্য এম এ আউয়াল, চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আহমেদ শরিফ, আকবর কবির।
নাট্য সভায় সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত অভিনেতা আহমেদ শরীফ প্রমুখ।
বাবু/জাহিদ