ইতোমধ্যে গানের ডানা মেলেছেন তিনি। একজন গীতকবি হিসেবে সময়ের তালে এগিয়ে যাচ্ছেন ফরিদা ফারহানা। একজন প্রতিশ্রুতিশীল গীতিকবি হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন। চমৎকার গীত লেখায় তিনি গান বাঁধেন আপন মনে। তার গানে মানুষের মনকে দোলা দিতে জুড়ি নেই। দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীরা তার গান কন্ঠে ধারণ করে নিয়েছেন। কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পীর কন্ঠে তার গান সাড়াও জাগিয়েছেন ব্যাপক। ২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশ বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। কিন্তু তার গানে শিল্পীদের কণ্ঠ দেওয়া শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে।
ফরিদা ফারহানার লেখা এবং ফরিদ আহমেদের সুর ও সংগীতে ‘প্রেমের গল্প’ নামের গানটিতে কণ্ঠ দেন আসিফ আকবর ও পলি সায়ন্তনী। গানটি ইউটিউবে বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাতাশ লাখ শ্রোতা উপভোগ করেছে। একই সময়ে ‘পহেলা বৈশাখে’ শিরোনামে ফরিদা ফারহানার লেখা গানে কণ্ঠ দেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রোমানা ইসলাম। এটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন যথারীতি ফরিদ আহমেদ। ‘মেঘে ঢাকা রোদ্দুর’ শিরোনামের প্রথম রেকর্ড হওয়া গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ক্ষুদে গানরাজের শিল্পী আরশী জোয়াদ্দার। সুর করেছিলেন বেলাল খান এবং সংগীতায়োজনে ছিলেন এফএ সুমন। গানটি শ্রোতাদের কাছে সাড়া জাগিয়েছিল। অ্যালবামের পাশাপাশি নাটকের জন্যও গান লিখেছেন এই গীতিকবি। প্রতীক হাসান তার লেখা ‘নানা রঙের মানুষ’ শিরোনামের নাটকের একটি গানে কণ্ঠ দেন। এই গানটিও বেশ আলোচনায় ছিল।
এভাবে ধীরে ধীরে গানের ভুবনে বিকশিত হতে থাকেন ফরিদা ফারহানা। সেই ধারাবাহিকতায় বেতারে লিখছেন নিয়মিত, কিছুদিন আগে সাব্বির জামানের সুরে গাইলেন অবন্তী সিঁথি আর বেতারের পরিচালক কামাল আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশ বেতারে ফরিদা ফারহানা লেখা রক ঘরনার আধুনিক গান রেকর্ডিং হয়েছে। গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক কামাল আহমেদ ও সানিয়া সুলতানা লিজা। সুর এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অশোক মজুমদার। সম্প্রতি নাটকের টাইটেল সং লিখলেন বৈশাখী টেলিভিশন এর জন্য। গত কাল রেকর্ড হলো ডুয়েট গান মোমিন বিশ্বাস আর স্মরণ এর কন্ঠে। সুর ও সংগীত করেছেন এস আই খোকন। এ বিষয়ে ফারহানা বলেন, সুন্দর একটা লিরিক এ কাজ করা হলো। আশাকরি ভালো লাগবে সবার।
বাবু/জেএম