কাতারে বেশ শক্তিশালী কিছু দলের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলতে হবে উরুগুয়ের। এ নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না ফেদেরিকো ভালভেরদে। রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার বরং বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়ায় খুশি। তার মতে, এই চ্যালেঞ্জ সামলে সাফল্য পেলে আনন্দের মাত্রা হবে আরও বেশি।
'এইচ' গ্রুপে উরুগুয়ের তিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল ও ঘানা। আগামী ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে তারা। ভালভেরদের চোখে এই গ্রুপ ভীষণ কঠিন।
“যত কঠিন গ্রুপ হবে, তত ভালো। আমাদের কঠিন সব প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করতে হবে। এমন কিছু প্রয়োজন ছিল।”
“যখন কোনো কিছু সহজেই পেয়ে যাই, আমরা সেটি মূল্যায়ন করি না। উরুগুইয়ান হিসেবে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। যদি বিশ্বাস রাখি, তাহলে আমাদের নায়ক হওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।”
১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে। বিশ বছর পর ‘মারাকানা ট্র্যাজেডির’ জন্ম দিয়ে দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর আর মেলেনি সাফল্য। সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ সাফল্য সেমি-ফাইনাল খেলা, ২০১০ সালে।
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় ‘লা সেলেস্তেরা।’ এবার ভালভেরদের বিশ্বাস তারা আরও সামনে যেতে পারবেন। দলের মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন কোচ দিয়েগো আলোনসো।
“তিনি আমাদের বলেছেন যে, আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। আমাদের স্বপ্নটা আছে।”
“আমরা বিশ্বাস করি দারুণ কিছু জিনিস অর্জন করতে পারব। হয়তো নাও পেতে পারি। তবে আমাদের লক্ষ্য হলো, একটা ছাপ রেখে যাওয়া। মাঠে যেকোনো কিছু হতে পারে। সবসময় বড় চিন্তা করতে হবে।”
বাবু/এসআর