রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সফররত জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শোনসুকে তাকেই’র সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ড. মোমেন। ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২২তম সম্মেলনের সাইডলাইনে এ বৈঠক হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যাবেন। এমন সময়ে দেশটির অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হচ্ছে। জাপানের সরকার একটু টলটলমান আছে। তাদের তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছে। তাই আমরা সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে তারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন।’
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি’র নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে কেউ কেউ বাধ্য করায় তিনি এমন কথা বলে ফেলেছেন। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো। তাই কেউ কিছু বললে হৈচৈ করার কারণ নেই।’
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ড. মোমেন সফররত শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ উভায়েস মোহাম্মেদ আলী সাবরি, মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলান গানো ও তানজানিয়ার মৎস্য ও সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সুলেইমান মাসউদ মাকামের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
এই তিন বৈঠক প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিমান চলাচল চালু হলেও নৌ-যোগাযোগ এখনো হয়নি। চট্টগ্রাম থেকে মালদ্বীপ পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের জন্য দ্রুত চুক্তি করতে চায় সরকার। এ ছাড়া আমাদের রপ্তানির পোশাক কলম্বোতে আটকে থাকে। এগুলো যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত জাহাজে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। মরিশাসে অনেক বাঙালি সেখানে কাজ করে। তাই দেশটির সঙ্গে সরাসরি বিমান চালু করতে চাই।‘তা
নজানিয়ার সমুদ্র অর্থনীতিতে অনেক অর্জন আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মরিশাসে ব্লু ইকোনমি বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ আছে। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে সহযোগিতার কথা হয়েছে। তারা আমাদের ওষুধ আমদানি করতে চায় জানিয়েছে। সে দেশে আমাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথাও বলেছে।’
বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |