জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ নিজেদের অধীনে রাখা এবং সব ধরনের পদে প্রেষণে পদায়ন বন্ধ করার জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে কর্মকর্তারা। এসময়ে মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরের দিন থেকেই আন্দোলনে নামবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে লিখিত সিদ্ধান্তগুলো ইসি সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও দিয়েছে তারা।
কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো-
১/ এনআইডি সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা।
২/ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সব ধরনের প্রেষণে পদায়ন বন্ধ ও শূন্য পদ পূরণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া;
৩/ কমিশন থেকে প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প লজিস্টিকসহ (ওয়্যারহাউজ ও যানবাহন) অনুমোদনে পদক্ষেপ নেওয়া; এবং
৪/ দ্রুততম সময়ে প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
এদিকে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ৫ ডিসেম্বর কালোব্যাজ ধারণ এবং ৮ ডিসেম্বর অর্ধদিবস কলম বিরতি পালন করবে ইসি কর্মকর্তারা।
এছাড়া সে সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। ঘোষিত কর্মসূচি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এনআইডি, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠপর্যায়ের সব কার্যালয়ে একসাথে তা পালন করা হবে। তবে ইতোমধ্যে ঘোষিত নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
বাবু/এসআর