অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক চলকসমূহের অবস্থান সন্তোষজনক। আমদানি-রপ্তানি আয় উভয়ক্ষেত্রেই ধনাত্মক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে মন্ত্রী এ দাবি করেন। তিনি বলেন, এ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আয়, প্রবাসী আয় এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, এডিপির ব্যয়, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ ইত্যাদি মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালকসমূহের অবস্থান সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
চলমান অর্থবছরে সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।
মন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে আসা এবং মধ্যবর্তী পণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বিগত অর্থবছরে একই সময়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে বর্তমানে বিলাসবহুল দ্রব্যের আমদানি পরিহার করা এবং সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের কারণে আমদানি ব্যয় কমেছে।
তিনি বলেন, বিগত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি ঋণপত্র ৪.৫৭ শতাংশ কম খোলা হয়েছে। এছাড়াও বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বর ২০২১ এ ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বর ২০২২ সময়ে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দাম কমতে থাকায় মূল্যস্ফীতির বর্তমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও খুব দ্রুত আগের মতো শক্ত অবস্থানে ফিরবে।
বাবু/এসআর