গত ৮ নভেম্বর অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি এই ফেডারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পরই 'মাদার অব স্পোর্টস' ডিসিপ্লিনটি নতুন স্বপ্ন দেখছে। তার যোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় ১৪ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই ওয়ালটন কয়েক কোটি টাকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে এই প্রতিযোগিতায়।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের নতুন সভাপতি তোফাজ্জল স্বপ্নের কথাই বলেছেন, ‘আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতের দ্রুততম মানব খুঁজবো’।
সারা দেশের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা বিভাগ পেরিয়ে প্রায় ২০ লাখ অ্যাথলেট এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে ধারণা ফেডারেশনের। ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ে ১৪-২৮ জানুয়ারি, জেলা পর্যায়ে ১-৫ ফেব্রুয়ারি, বিভাগীয় পর্যায়ে ৯-১৩ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিযোগিতা চলবে।
এত বড় প্রতিযোগিতা থেকে ভালো অ্যাথলেট বের করা এবং তাদের প্রশিক্ষণে রাখার পরিকল্পনার কথাও বললেন সভাপতি, ‘জাতীয় পর্যায়ের সূচি আমরা দেইনি। কারণ বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখব কোন ইভেন্টে কেমন অ্যাথলেট পাওয়া যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ ছাড়া ভালো অ্যাথলেট সম্ভব নয়। আমরা খেলোয়াড়দের পাশাপাশি প্রশিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’
শ্রেণিভিত্তিক ৪টি গ্রুপে ৩২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপ (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রী) ইভেন্ট- ১০০মি., ২০০মি., হাইজাম্প ও লংজাম্প। ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রুপ (৯ম থেকে ১০ শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রী) ইভেন্ট- ১০০মি., ২০০মি., ৪০০মি., ৮০০মি., ১৫০০মি., হাইজাম্প, লংজাম্প, ট্রিপুল জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো, শটপুট, ডিসকাস থ্রো ও ৪*১০০মি. রিলে।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের পাইপলাইনে খেলোয়াড় যেমন সংকট তেমনি সমস্যা রয়েছে অবকাঠামোতেও। দেশের অনেক জেলায় নেই অ্যাথলেটিক্স টার্ফ। এই বিষয়ও কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি, ‘অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নে অবশ্যই আরো টার্ফ প্রয়োজন। টার্ফে অনেক ব্যয়ও রয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করব দেশের বিভিন্ন জায়গায় টার্ফ স্থাপনের’।
অ্যাথলেটিক্স দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলা। পঞ্চাশ বছর পার হওয়ার পরেও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সে দিকও আলোকপাত করেছেন নতুন সভাপতি, ‘আমাদের ধীরে ধীরে অ্যাথলেটিক্স কমপ্লেক্সের দিকে এগোতে হবে। ওয়ার্ম আপ লেন, আবাসন ব্যবস্থাসহ সব সুযোগ-সুবিধা যেখানে থাকে’।
বাবু/এসআর