ভাষাশহীদদের স্মরণে একুশের চেতনায় আজ শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। একুশের চেতনায় শানিত হয়ে স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর বাঙালির সৃজন ও মননের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি সেজেছে নতুন সাজে।
এখানে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসবেন দোকানিরা। লেখক, পাঠক, ক্রেতা, প্রকাশক, বিক্রয়কর্মী ও দর্শকের পদচারণে এ এলাকা এক মাস মুখরিত থাকবে।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, একুশে বইমেলা কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। গতকাল অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলা কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীরা যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি মনে না করেন সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ যেন উসকানিমূলক বই প্রকাশ না করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না লেখে। আমাদের সাইবার ইউনিট কাজ করবে। বইমেলায় আসতে লেখক-প্রকাশকরা কোনো ধরনের হুমকি মনে করলে আমাদের অবহিত করলে ব্যবস্থা নেব। মেলাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শহীদ মিনার ও শাহবাগ-নীলক্ষেত কেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তল্লাশি দল থাকবে, সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবে। মূল মেলাপ্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। এ ছাড়া কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। মেলাপ্রাঙ্গণসহ আশপাশ এলাকার প্রতি ইঞ্চি জায়গা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলাপ্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক পোশাকধারী সদস্যও মোতায়েন থাকবে।
মেলার আশপাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ির টহল থাকবে। সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইমসিন ভ্যান ও ডগস্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মেলায় মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভিতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলাপ্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তা বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
বাবু/এ আর