দেশের সংবিধান অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনারের রাষ্ট্রপতি হতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অনাকাঙ্ক্ষিত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়াতেও আহবান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচন কমিশন থেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ঘোষণা করেছে কমিশন। নিয়োগ এবং নির্বাচিত এই দুই প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে মত দেন তিনি।
১৯৯৬ সালে রায়ের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, কমিশনার কিংবা বিচারপতি পদ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে বাধা নেই। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তোলা হলে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও মনে করেন সিইসি।
সোমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাবুদ্দিনকে একমাত্র মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সিইসি। পরদিন সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নিয়ম অনুযায়ী তার নাম-ঠিকানাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে রোববার সিইসির কাছে সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেদিনই ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, যেহেতু একজনের মনোনয়ন জমা পড়েছে, তাই সোমবার যাচাই-বাছাই শেষে সাহাবুদ্দিনই হবেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। আগের মেয়াদেও তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বঙ্গভবনের দরবার হলে ২১তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি শপথ নেন।
নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। দুদকের সাবেক এই কমিশনার মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গভবনে যাচ্ছেন।
-বাবু/এ.এস