সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ২৩ জুন ২০২৫
ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তি থামাবে কে
বুলেটিন ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:১৭ AM আপডেট: ১৬.০২.২০২৩ ১১:২২ AM
আবারও বড় শিরোনাম ছাত্রলীগ নিয়ে। আদর্শিক চর্চার মাধ্যমে অবদানের জন্য নয়। শিক্ষার্থী নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠানো, সিট বাণিজ্য, সংঘর্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা কারণে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ঘটনা নিয়ে আলোড়নের মধ্যেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্বরতা নাড়া দিয়েছে দেশবাসীকে। এর আগে হেনস্তা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী সাংবাদিককে।

কয়েক মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একের পর এক ঘটছে নির্যাতনের ঘটনা। চাঁদাবাজি, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, যৌন নিপীড়ন, চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। বিশেষ করে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছেন এক শ্রেণির নেতাকর্মী। তবে পরিস্থিতির উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও সরকার যেন নির্বিকার। এতে প্রশ্ন উঠেছে- ছাত্রলীগের লাগাম টানবে কে?

চার বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন হওয়ায় ছাত্র রাজনীতি নতুন দিকনির্দেশনা পাবে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনেকে। নতুন নেতৃত্ব সারাদেশে সংগঠনে শৃঙ্খলা ফেরাতে অপকর্মে জড়িত ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। তবে কোনো পরিবর্তন নেই ক্ষমতাসীন দলের এই ছাত্র সংগঠনে।

নিজ সংগঠনের কর্মী, প্রতিপক্ষ সংগঠনের নেতাকর্মী এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে একের পর এক খবর আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিনতাইকাণ্ডে ছাত্রলীগ কর্মীর নাম এসেছে। এ ঘটনায় সংগঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিস্কার হয়েছেন তাঁরা। কেন এমনটি ঘটছে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, দল অনেকদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে যাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের আদর্শ নেই তারাও এখন ছাত্রলীগ করে লাভবান হওয়ার জন্য। দেখা যায়, গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে বড় আকারের কমিটি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে ছোট কমিটি দেওয়া উচিত।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে অলস বসিয়ে না রেখে কাজে লাগাতে হবে। তাঁদের ভালো কাজের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ করতে হবে। তাহলে তাঁরা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হবেন না। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বিয়ে এবং ব্যবসা কিংবা চাকরি করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখন একজন ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর বৈধ কোনো উপার্জন থাকবে না, তখন তিনি বাধ্য হয়ে চাঁদাবাজির মতো দুস্কর্মে জড়াতে পারেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের একটা নিজের ফান্ড থাকতে হবে। নেতাকর্মীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিয়ে এই ফান্ড গঠন করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে, আমরা ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া নেতাকর্মীরা যেন অন্যায় কাজে নিজেদের না জড়ায়, এ জন্য তাদের সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আগে সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত হোক, এটা আমরা কখনোই চাই না। যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছি। তবে এটাই বড় সমাধান নয়। শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক চেতনার পরিবর্তন করা দরকার। তাদের মনোজগতের পরিবর্তনে আমরা ইতোমেধ্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনও শুরু করেছি। সাংস্কৃতিক চর্চাটা বেগবান হলেই তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের মৌলিক লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা এবং শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ছাত্র রাজনীতি যাতে পরিচালিত হয়, সেটি নিশ্চিত করা। কেউ যদি সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড করে, সে ক্ষেত্রে আমরা শূন্য সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করব। এ বিষয়ে আমাদের সাংগঠনিক নির্দেশনা রয়েছে। সেটি সব নেতাকর্মীকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান বলেন, ছাত্রলীগ সুশৃঙ্খল সংগঠন। সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গঠনতান্ত্রিক ধারায় এবং সাংগঠনিক নিয়মে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তবে এত বড় সংগঠনে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটা মাত্রই আশু পদক্ষেপ নিই। সম্প্রতিও আমরা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ২১ নেতাকর্মীকে বহিস্কার করেছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, এ জন্য আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কলেজ পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রাবাস ছাড়ার নিয়ম থাকলেও সেটি যেন কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। এই নিয়ম মানতে নারাজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) বেশিরভাগ ছাত্রলীগ নেতা। তাঁরা কলেজ থেকে পাস করার পরও নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছেন কক্ষ। সেই কক্ষ নিজেদের হেফাজতে রেখে ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করছেন তাঁরা। তাঁদের কক্ষগুলো ব্যবহার করা হয় নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে। চলে মাদকের আসরও। তবে চার ছাত্রকে কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের দুটি কক্ষে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালানোর ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসেছে কলেজ ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, ছাত্রাবাসে চালানো হবে নিয়মিত শুদ্ধি অভিযান। এ জন্য দায়িত্বশীলদের নিয়ে এরই মধ্যে কলেজের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ কর্মকর্তা শুদ্ধি অভিযানের পক্ষে মত দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। এ জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা, ভিজিটিং টিম গঠনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধান ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিজোয়ান রেহান সমকালকে বলেন, কিছু কক্ষ দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখে দেওয়ার অভিযোগে এরই মধ্যে আমরা বেশ কয়েকজনকে নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু এর পরও তারা কক্ষ ছাড়েনি। তাই সংশ্নিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করে তিন দিনের মধ্যে দখলে রাখা কক্ষ ছাড়তে নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

চার ছাত্রকে নির্যাতনের এক সপ্তাহ পরও প্রধান ছাত্রাবাসজুড়ে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক খোলা। ভেতরে স্বাভাবিক সময়ের মতো নেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের আড্ডা, হৈহুল্লোড়। ছাত্রাবাসের নিচতলায় দায়িত্ব পালন করছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। কয়েকজন শিক্ষার্থী সমকালকে জানান, কক্ষে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখনও ভয় ও আতঙ্কে সময় পার করছেন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, চার শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই ছাত্রাবাসে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বক্ষণ পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে নির্যাতনের শিকার হয়ে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ বলেন, 'দুইজনের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। তাই তাঁদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পর আশা করছি, তাঁরা বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন।' তবে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কেবিনে সার্বক্ষণিক দু'জন আনসার নিয়োগ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ইবি প্রতিনিধি জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকে ছাত্রী লাঞ্ছনা, সাধারণ ছাত্রদের মারধর, অন্তর্কোন্দল, মাদকের সংশ্নিষ্টতাসহ বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়েছে। তবে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সমঝোতা, হুমকি ও প্রশাসনে তদবির করে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। এভাবে ধীরে ধীরে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। চলতি বছরে ক্যাম্পাসে র‌্যাগিংয়ের ঘটনা বাড়ছে। সর্বশেষ নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এক ছাত্রী। গত রোববার রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাঁকে দলবদ্ধভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের নেত্রী অন্তরা, মোয়াবিয়া ও তাবাসসুমসহ কয়েকজন। নির্যাতনের বিষয়ে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ওই ছাত্রী। তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করা হয়। বিষয়টি ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে গড়িয়েছে হাইকোর্টের বারান্দা পর্যন্ত। বুধবার বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে এসেছে। উচ্চ আদালতের আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আইনজীবী আজগর হোসেন তুহিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ বিষয়ে তাঁরা বলেন, 'পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের (জনস্বার্থে মামলা) আওতায় র‌্যাগিংয়ের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবে।'

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুধবার পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
রাবি প্রতিনিধি জানান, গত রোববার রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে মারধর করে তাঁর সিটে আরেকজনকে তুলে দেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে 'শিবির' অ্যাখ্যা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন তাঁরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত শনিবার ফোকলোর বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে চেয়ার ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে। গত কয়েক মাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগ এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, প্রশাসনের নমনীয়তার কারণে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে; নির্যাতনকারীরা বেপরোয়া হচ্ছে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে এমন পদে না থাকাই ভালো। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার রানা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগুলো বন্ধ করবে কেন? যে প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হয়, প্রো-ভিসি নিয়োগ হয়, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলীয় চামচাবাজি করেন, চাটুকারিতা করে এসব পদে নিয়োগ পান, তাঁরা কেন সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কথা বলবে? এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে কথা বলার তো কারণ নেই।' সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, কোনো অভিযোগ পেলে সেসব তদন্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

বাবু/এ আর  

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  ছাত্রলীগ   দুর্বৃত্ব  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত