আসন্ন গ্রীষ্ফ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার সহায়তা চেয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ)। সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল খান গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করে এ সহায়তা চান।
এ বিষয়ে ফায়সাল খান বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানির দরকার হয়, বর্তমানে তার ৭০ শতাংশ আমদানি সম্ভব হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশের জন্য ব্যাংকগুলো যেন এলসি খোলে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির জন্য ডলার সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয় সংগঠনটি। চিঠিতে বিআইপিপিএ বলেছে, কভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্ব সংকটে পড়েছে। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। তাদের এসব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যাগুলো তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, বাজারে ডলার সংকটের কারণে এ সমিতির সদস্য কোম্পানিগুলোর পক্ষে বিদ্যুৎ খাতের প্রয়োজনীয় এইচএফও, লুব অয়েল ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যমান আর্থিক সংকট ও ডলার-স্বল্পতার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে প্রয়োজনীয় এইচএফও, লুব অয়েল ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খুলতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ আয় বাবদ প্রতি মাসে প্রদেয় বিল সময়মতো পরিশোধ করছে না। তাই কোম্পানিগুলো চরম মাত্রায় নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে। পাওনা পরিশোধে পিডিবি অস্বাভাবিক দেরি করায় কোম্পানিগুলোর লোকসানের বোঝা বেড়েই চলছে।
বাবু/এ আর