মোবাইল গেমপ্রেমীদের কাছে অ্যাংগ্রি বার্ডস গেমটি ব্যাপকভাবে পরিচিতি। এই গেম খেলেননি এমন গেমার পাওয়াই মুশকিল। দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় গেম হিসেবে অবস্থান ধরে রেখে গেমটি। তবে অ্যাংগ্রি বার্ডস প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার থেকে প্লে-স্টোরে আর মিলবে না গেমটি।
২০১৬ সালে মুক্তি পায় অ্যাংগ্রি বার্ডস নামে অ্যানিমেশন সিনেমা। তার সঙ্গেই গেমারদের জন্য সামনে আসে অ্যাংগ্রি বার্ডস নামে একটি নতুন গেম। যা খুব অল্প দিনেই পৌঁছে গিয়েছিল জনপ্রিয়তার শিখরে। ২০১৯ সালে সিনেমাটির সিকুয়েল মুক্তি পায়। অ্যাংগ্রি বার্ডস টু সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গেমের জনপ্রিয়তাও। তবে এবার প্লে-স্টোর থেকে বিদায় নিতে চলেছে সেই গেমটি।
অরিজিনাল অ্যাংগ্রি বার্ড গেমের নির্মাতা রভিও জানিয়েছে, গুগল প্লে-স্টোর ছাড়তে চলেছেন তারা। তবে আইওএস ভার্সনের ক্ষেত্রে এমন দুঃসংবাদ অবশ্য নেই। তবে বদলাচ্ছে নাম। অ্যাপস্টোরে এবার থেকে রেড’স ফার্স্ট ফ্লাইট নামে মিলবে গেমটি।
কেন রাতারাতি গুগল প্লে স্টোর ছাড়তে চাইছে অ্যাংগ্রি বার্ডস তা নিয়ে অবশ্য কিছু স্পষ্ট করেননি রভিও। গেমটির বিজনেস কেস রিভিউয়ের পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই প্লে-স্টোরে গেমটি মিলবে না বলে জানা গেছে।
মূলত প্লে-স্টোরে রয়েছে এই গেমের প্রিমিয়াম ভার্সন। তার সামনে এই পুরোনো ফ্রি টু প্লে গেমটিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না গেমাররা। বরং তারা বেছে নিচ্ছেন প্রিমিয়াম গেমটিই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুরোনো সেই ম্যাজিক হারাচ্ছে অ্যাংগ্রি বার্ডস। আর তার কারণেই এ সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রভিওর পক্ষ থেকে টুইট করে এ ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে। সংস্থার দাবি, তারা রভিও ক্লাসিকের ব্যবসায়িক দিকগুলো খতিয়ে দেখছেন। তবে সংস্থার বৃহত্তম গেম পোর্টফোলিওতে খারাপ প্রভাব ফেলছে অ্যাংগ্রি বার্ডস। তাই গুগল প্লে-স্টোর থেকে গেমটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার এই সিদ্ধান্তে অখুশি অ্যাংগ্রি বার্ডস ফ্যানরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন অনেকে।
তবে অরিজিনাল অ্যাংগ্রি বার্ডস বিদায় নিলেও অ্যাংগ্রি বার্ডস টু, অ্যাংগ্রি বার্ডস ফ্রেন্ডস বা অ্যাংগ্রি বার্ডস জার্নির মতো খেলাগুলো কিন্তু এখনো মিলবে প্লে-স্টোরে। রভিওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেমারদের কাছে আরও ভালো অভিজ্ঞতা পৌঁছে দেওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য সংস্থাটির। আর সে কারণেই পুরোনো অ্যাংগ্রি বার্ডস গেমটি প্লে-স্টোর থেকে তুলে নিচ্ছে তারা।
-বাবু/এ.এস