গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় পশ্চিমাদের পেছনে ফেলেছে চীন। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক ও গবেষণায় অগ্রগতির দৌড়ে বিশ্বের ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির মধ্যে ৩৭টিতে বর্তমানে চীন এগিয়ে আছে। আর এসব প্রযুক্তিতে চীনের ক্রমবর্ধমান উন্নতির পেছনে রয়েছে দেশটির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
তাইওয়ান ইস্যু, ইউক্রেন যুদ্ধ, আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাল্টাপাল্টি মহড়া আর সবশেষ বেলুনকাণ্ড। একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বেড়েছে উত্তেজনা। তাইপে ইস্যুতে বেইজিংকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। দুপক্ষের মধ্যে চলছে একে অপরকে পেছনে ফেলার প্রতিযোগিতা। হোক সেটা প্রযুক্তিগত, সামরিক কিংবা ব্যবসায়িক ইস্যুতে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই নিজেদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়িয়েই চলেছে। আর এক্ষেত্রে মার্কিনসহ পশ্চিমাদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে চীন। থিংক ট্যাংক অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট বা এএসপিআই’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক ও গবেষণায় অগ্রগতির দৌড়ে প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় পশ্চিমের তুলনায় বেইজিং অনেকটাই এগিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিক ও গবেষণায় অগ্রগতির দৌড়ে ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির মধ্যে ৩৭টিতে বর্তমানে চীন এগিয়ে আছে। তারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, রোবোটিক্স, জ্বালানি, পরিবেশ, জৈবপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে এরই মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছে চীন।
ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ট্র্যাকারের রিপোর্ট অনুসারে, চীনের আধিপত্যের মূল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রোন, মেশিন লার্নিং, বৈদ্যুতিক ব্যাটারি, পারমাণবিক শক্তি, কোয়ান্টাম সেন্সর এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিষ্কাশন। সংস্থাটি বলছে, এসব প্রযুক্তিতে চীনের ক্রমবর্ধমান উন্নতির পেছনে রয়েছে দেশটির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
বাবু/এ আর